বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটেয় আসানসোলের বাড়িতে এসে পৌঁছায় শহীদ সঞ্জিত কুমার হরিজনের দেহ। কলকাতা থেকে সিআরপিএফের গাড়িতে নিয়ে এসে আসানসোলের নিউ ঘুসিক কোলিয়ারির ইন্দিরা কলোনিতে সঞ্জিতের বাড়ির সামনে কফিনবন্দী দেহ রাখা হয়। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান এলাকার মানুষজন। সিআরপিএফ এবং আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে মৃত জওয়ানকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফের দুর্গাপুর রেঞ্জের ডিআইজি বিনয় কুমার সিং আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস, আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক তাপস ব্যানার্জি প্রমুখ। চোখের জলে সঞ্জিতকে শেষ শ্রদ্ধা জানান হাজার হাজার সধারণ মানুষ।

উল্লেখ্য, সিআরপিএফের ১৫০ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ছিলেন সঞ্জিত কুমার। মঙ্গলবার দুপুরে সুকমার জঙ্গলে রুটিন তল্লাশি চালানোর সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন ফেটে গুরুতর জখম হন সঞ্জিত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়পুরের হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশে হলেও সঞ্জিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা আসানসোলেই। বাবা রাম আয়ুধ হরিজন ছিলেন ইসিএল কর্মী। সঞ্জিতের পরিবারে রয়েছে বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সঞ্জিতের বন্ধুরা জানান, সঞ্জিত এলাকার যুবকদের ফোর্সে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করত। তাঁর উৎসাহে এলাকার অনেকেই চাকরি পেয়েছে সেনাতে।




Like Us On Facebook