দুর্গাপুজোয় বৃদ্ধা শাশুড়িকে ঘরের মধ্যে একা রেখে বাপের বাড়ি চলে যান পেশায় গৃহশিক্ষিকা বৌমা অপর্ণা ভট্টাচার্য। পুলিশ এবং প্রতিবেশীদের প্রচেষ্টায় ঘরের তালা ভেঙে বৃদ্ধা আনন্দময়ী ভট্টাচার্যকে উদ্ধার করে আখলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, আসানসোলের জামুরিয়ায় ১১ নম্বর শিবমন্দির পাড়ার ঘটনা। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুজার আগে অপর্ণা ভট্টাচার্য বাড়িতে সত্তরোর্ধ শাশুড়িকে একা রেখে ঘরে চাবি দিয়ে আসানসোলে বাপের বাড়ি চলে যান। স্থানীয়রা ভেবেছিলেন, অপর্ণাদেবী সম্ভবত তাঁর বৃদ্ধা শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়েই গেছেন। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করেই ঘর থেকে গোঙানির আওয়াজ পান স্থানীয়রা। সন্দেহ হওয়ায় বাসিন্দারা জানালা দিয়ে দেখেন বৃদ্ধা ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। এলাকার মানুষজন পুলিশকে খবর পাঠান। পুলিশ এসে ঘরের দরজা তালা ভেঙে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় মানুষজন জানান, আনন্দময়ী ভট্টাচার্যের স্বামী পেশায় দন্ত চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর একমাত্র সন্তান রাজেশের সঙ্গে অপর্ণার বিয়ে হয়েছিল কয়েক বছর আগে। তাঁদের একটা কন্যা সন্তান আছে। কিন্তু বছর দুয়েক আগে রাজেশ ভট্টাচার্য মারা যান। এরপর থেকে আনন্দময়ীদেবী এবং অপর্ণাদেবী একসঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকতেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা ৭-৮ দিন অভুক্ত অবস্থায় আছেন। তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।