সম্প্রতি রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দেশের বিভিন্ন স্টেশনের পরচ্ছন্নতা নিয়ে করা সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় রেল ‘স্বচ্ছ রেল স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের অঙ্গ হিসাবে কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফ ইন্ডিয়া (কিউসিআই) নামে থার্ড পার্টিকে দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্টেশনের পরিচ্ছন্নতার উপর সমীক্ষা করায়। কিউসিআই দেশের ৪০৭টি স্টেশনে এই সমীক্ষা চালায়। যার মধ্যে ৭৫টি এ১-ক্যাটিগরি এবং ৩৩২টি এ-ক্যাটিগরির স্টেশন। পূর্ব রেলের ১৫টি স্টেশনে এই সমীক্ষা চালানো হয়।

২০১৮ সালের সমীক্ষায় এ-ক্যাটিগরিতে দুর্গাপুর স্টেশন ৮১, বর্ধমান স্টেশন ১৭৭ এবং আসানসোল স্টেশন ১৭৮ তম স্থান পেয়েছে। ২০১৭ সালের করা সমীক্ষায় এ-ক্যাটিগরিতে দুর্গাপুর স্টেশন ৪, আসানসোল স্টেশন ৭১ এবং বর্ধমান স্টেশন ৩০৯ তম স্থানে ছিল। গত বছরের পরিচ্ছন্নতা সমীক্ষায় এ-ক্যাটিগরিতে চতুর্থ স্থান পেয়ে পূর্ব রেলের মুখ উজ্জ্বল করেছিল দুর্গাপুর। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে গতবছরের তুলনায় দুর্গাপুর ও আসানসোল স্টেশনের যেমন ব্যপক অবনতি হয়েছে তেমনই বর্ধমান স্টেশন অনেকটাই উন্নতি করেছে।

এবারের সমীক্ষায় রাজস্থানের মারওয়ার স্টেশন ১০০০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৭২.৭১ স্কোর করে এ-ক্যাটিগরিতে প্রথম স্থান দখল করেছে। দুর্গাপুর ৮৩৩.৪৯, বর্ধমান ৭৩৮.৬৪ এবং আসানসোল ৭৩৮.৫৬ স্কোর করেছে। ২০১৭ সালের সমীক্ষায় দুর্গাপুর ৮৪২.০০, আসানসোল ৭১৫.০০ এবং বর্ধমান ৪৬৮.০০ স্কোর করেছিল।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মৌমিতা প্রতিদিন দুর্গাপুর স্টেশন হয়েই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নিতে যান। স্বচ্ছতার নিরিখে দুর্গাপুর রেল স্টেশনের র‍্যাঙ্ক নেমে যাওয়ার খবর শুনে মৌমিতা বলেন, যখন শুনেছিলাম দুর্গাপুর রেল স্টেশন স্বচ্ছতার নিরিখে দেশের মধ্যে চার নং র‍্যাঙ্ক করেছে তখন গর্ব অনুভব করতাম। কিন্তু বর্তমানে র‍্যাঙ্ক কমে গেল মানে সেভাবে আর স্বচ্ছতা নিয়ে দুর্গাপুর রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছেন না। এই খবর তো আমাদের কাছে লজ্জার। মৌমিতা বলেন, অবিলম্বে দুর্গাপুর রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ স্টেশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিক এই দাবি রাখছি।

Like Us On Facebook