রথযাত্রার দিন রথের রশি টেনে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা তবে রানিগঞ্জের সিহারশোলের রাজবাড়ির রথযাত্রায় পিতলের রথে অধিষ্ঠিত থাকেন কুলদেবতা দামোদর চন্দ্র জিউ। নতুন রাজবাড়ি থেকে পুরাতন রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় পিতলের রথ। বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি রথের চারিপাশে প্রতিষ্ঠা করে রথকে সুসজ্জিত করে তোলা হয়।
১৮৩৬ সালে সিহারশোলের জমিদার গোবিন্দ প্রসাদ পন্ডিত শুরু করেন এই রথযাত্রা উৎসব। প্রথমে কাঠের রথ টানার চল থাকলেও পরে কাঠের রথটি পুড়ে গেলে মাহেশের রথের অনুকরণে ১৯২২ সালে তৈরি করা হয় ৩৫ ফুট উঁচু পিতলের রথ। ৯ দিন পুরাতন রাজবাড়িতে থাকার পর দামোদরচন্দ্র জিউকে ফের রথে চাপিয়ে নিয়ে আসা হয় নতুন রাজবাড়িতে।
শনিবার রাজপরিবারের সদস্যদের উপস্থিতির মধ্য দিয়েই রথের দড়ি টানা শুরু হয়। আর এই রথ উৎসবকে ঘিরে যেকোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয় মেলার বিভিন্ন প্রান্তে। বিগত বছরগুলির ন্যায় এ বছরও চাষবাসের বিভিন্ন সামগ্রী পসরা নিয়ে দোকানিরা হাজির হয় এই মেলায়। পাশাপাশি নানান স্টেশনারি সামগ্রী দোকান নজর কাড়ে আগতদের। ভোজন রসিকদের রসনা তৃপ্তিতেও নানান স্টল বসে মেলা চত্বরে। আর রথের মেলা মানেই নতুন গাছ লাগানো, সেই বিষয়কে নজরে রেখে হরেক রকম গাছের পসরা নিয়েও হাজির হতে দেখা যায় বহু ব্যবসায়ীকে।