পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে খুন হল এক যুবক। কুলটি থানার অন্তর্গত নিয়ামাতপুর ফাঁড়ি এলাকার আলডি গ্রামের ঘটনা। মৃত যুবকের নাম তাপস বাউরি (২২)। গত ৮ মে থেকে নিখোঁজ ছিল তাপস। নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তাপসকে খুনের অভিযোগে তার খুড়তুতো ভাই রাকেশ বাউরি ও পিসতুতো ভাই সাগর বাউরিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে।
জানা গেছে, শুক্রবার তাপসের বাবা রবিন বাউরি রাকেশ ও সাগরের নামে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, রাকেশ ও সাগর তাপসকে কিডন্যাপ করে খুন করেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রাকেশ বাউরি ও সাগর বাউরিকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাপসকে খুনের কথা স্বীকার করে এবং জানায় হিরাপুরের কাছে নরসুমোদা গ্রামের এক পরিত্যক্ত খাদানে তাপসের দেহ, মোবাইল এবং বাইক ফেলে দিয়েছে। পুলিশ তাদের নিয়ে সেখানে গিয়ে শনিবার তাপসের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
রাকেশ ও সাগর পুলিশকে জানায়, তাদের দাদু ইসিএলে কর্মরত ছিলেন। দাদুর মৃত্যুর পর দাদুর চাকরিটি পায় তাপসের বাবা রবিন বাউরি। এছাড়াও সাগরের মায়ের পেনসেনটিও তুলত তাপসের বাবা। তাদের দাদুর সম্পত্তি সহ চাকরি, পেনসেন ইত্যাদি নিয়ে পরিবারের মধ্যে বিবাদ ছিল। সেই ক্ষোভেই তাপসকে খুন করে তার খুড়তুতো ও পিসতুতো ভায়েরা। তারা আরও জানায়, মদ খাওয়ার লোভ দেখিয়ে তারা তাপসকে হিরাপুরের নরসুমোদা গ্রামের ওই পরিত্যক্ত খাদানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তাপসের মদে তারা বিষ মিশিয়ে দেয়। বিষ মেশানো মদ খেয়ে তাপস অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা। এরপর মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয় পরিত্যক্ত খাদানে।