নলেন গুড়ের রসগোল্লার উষ্ণতা নিতে সন্ধে হলেই মিষ্টি প্রেমী মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন মিষ্টির দোকানগুলিতে। সন্ধের পর মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়ালেই শোনা যাবে – “দাদা গুড়ের গরম রসগোল্লা আছে?”। বাঙালি নলেন গুড় ছাড়া শীতকাল ভাবতেই পারে না। নলেন গুড়ের পায়েস, পিঠে, রসগোল্লা, সন্দেশে মজে থাকার সময় এই কয়েক মাস।
নভেম্বর থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ নলেন গুড়ের মরসুম। উদ্ভিদবিদদের মতে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে-সঙ্গে খেজুর গাছের ‘ফ্লোয়েম’ কোষে মিষ্টত্ব বাড়ে ও খেজুর রসে সুগন্ধ তৈরি হয়। শীত পড়তেই মিষ্টি ব্যবসায়িরা শুরু করে দেন নলেন গুড়ের রসগোল্লা তৈরি করতে। শীতকালে চিনির রসগোল্লার চাহিদা অনেক কমে যায়। অধিকাংশ মানুষ শীতকালে গুড়ের রসগোল্লাই পচ্ছন্দ করেন। বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শীতকালে চিনির রসগোল্লার চাহিদা প্রায় ৭৫ শতাংশ কমে যায়।
ভগবান মিষ্টান্ন ভান্ডারের তাপস সেন বলেন,”আমার দোকানে ছোট ও বড় দু’রকমের গুড়ের রসগোল্লা হয়। প্রতিদিন ১৫০০-২০০০ গুড়ের রসগোল্লা বিক্রি করি। গুড়ের রসগোল্লার পাশাপাশি নলেন গুড়ের সন্দেশেরও প্রচুর চাহিদা থাকে এই সময়।”
ব্যবসায়ী দেবব্রত গুপ্ত বি সি রোডের এক মিষ্টির দোকান থেকে গুড়ের রসগোল্লা নিয়ে বর্ধমান ডট কমকে বলেন,”এই মরসুমে গুড়ের গরম তুলতুলে রসগোল্লার কোন তুলনা হয় না। সাধারণত সন্ধের পর গুড়ের গরম রসগোল্লা মেলে। তাই সন্ধের পর বাড়ি ফেরার পথে গুড়ের গরম রসগোল্লা নিয়ে যাই।”