স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই গ্রামে নাগরিক পরিষেবার কিছুই পৌঁছয়নি৷ নেই জল, রাস্ত, বিদ্যুৎ৷ একসময়ে গ্রামে বসতি করা প্রায় ৫০টি পরিবার জীবিকা ও নাগরিক সুবিধার স্বার্থে গ্রাম ছেড়ে চলে যান৷ তাদের বসবাস করা জীর্ণ বাড়ি গুলি ভগ্নপ্রায় দশায় কিছু কিছু অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে স্মৃতিটুকু আঁকড়ে ধরে থাকে৷ গ্রামের পাশ দিয়েই গেছে রেল লাইন, ক্রমেই দুষ্কৃতীদের আখড়া স্থল হয়ে ওঠে গ্রাম৷ পরবর্তী সময়ে এই বেনা গ্রাম ভুতুড়ে গ্রাম হিসাবে প্রসিদ্ধি লাভ করে৷ অনুন্নয়ন বা দুষ্কৃতী দৌরাত্ম যে কোন কারণেই হোক গ্রামের মানুষরা গ্রামে থাকার ভরসা পান না৷ তবে যত যাই হোক, গ্রামের মানুষজন লক্ষ্মীপুজোর দিন সমবেত ভাবে ফিরে গ্রামের লক্ষ্মী মন্দিরে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করতেন৷ তবে পুজো সারা হলেই গ্রামের চৌহদ্দিতে আর কেউ থাকতে চাইতেন না৷ কুলটির বেনা গ্রাম ৬১নং ওয়ার্ড হিসাবে আসানসোল পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হলে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয় এলাকায়৷ এডিডিএ’র পক্ষ থেকে তৈরি করা হয় রাস্তা, পানীয় জলের ব্যবস্থাও সারা৷ বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটি পোঁতার কাজও চালু হয়েছে৷ ফলে গ্রামের মানুষজন ফের গ্রামে ফিরে আসার কথা ভাবছেন৷ পরিস্থিতির উন্নয়ন ও হাল হকিকত দেখতে এদিন গ্রামে হাজির হন আসানসোল পুরসভার এমআইসি পূর্ণশশী রায়৷ তিনি জানান ভুতুড়ে গ্রাম আসলে গুজব। লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষ্যে গ্রামে ফিরে আসা মানুষজন পরিষেবার উন্নয়ন দেখে খুশি। তাঁরা আবার কুলটির বেনা গ্রামে স্থায়ী ভাবে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।