গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেও সেই অনাস্থা গৃহীত না হওয়ায় শুক্রবার ৭জন গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য পদত্যাগ করলেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান ২নং ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শুক্রবার এই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য সুলেখা পাকড়ে, জবা মালিক, টুম্পা দে, মনশ্রী মণ্ডল, হেমন্ত খাঁ, সুনীল কিস্কু এবং গোপাল বিশ্বাস বর্ধমান ২নং ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদারের কাছে তাঁদের লিখিত পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।
তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত পদত্যাগী এই পঞ্চায়েত সদস্যরা জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাঁদের লাগাতার অপমান করে চলেছেন। এমনকি তাঁদের না জানিয়েই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এর ফলে তাঁরা তাঁদের এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন। এনিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থাই নেননি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা পদত্যাগ করছেন। উল্লেখ্য, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এই পঞ্চায়েত সদস্যরা বর্ধমান ২নং ব্লকের বিডিওর কাছে পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের নিয়মানুসারে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর আড়াই বছরের আগে যেহেতু অনাস্থা আনা যায় না তাই তাঁদের সেই অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হয়। আর তারপরেই শুক্রবার একযোগে এই ৭জন সদস্য পদত্যাগ করলেন।
জানা গেছে, আরও একজন পঞ্চায়েত সদস্য এই পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পদত্যাগী এই ৭জনের মধ্যে গোপাল বিশ্বাস বৈকুণ্ঠপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। এদিকে, খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এদিন ৭ সদস্য পদত্যাগ করায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই পদত্যাগীরা এখনই কোন দলবদল করছেন না বলেই তাঁদের ঘনিষ্টমহল সূত্রে জানা গেছে। এব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই পঞ্চায়েত প্রধান অসুস্থ রয়েছেন।