দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাসপাতালটিকে ৪০ টি সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে মুড়ে ফেলতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা থেকে চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতাল কর্মী সহ গোটা হাসপাতালের নিরাপত্তা জনিত যে কোন বিশৃঙ্খলা ও আসামাজিক কাজকর্ম রুখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
হাসপাতালের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সুপার ডা: দেবব্রত দাস আগেই ৮ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আরও ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। খুব শীঘ্রই ৩২ টি সিসি ক্যামেরা হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসতে চলেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে, রোগীদের উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা দিতে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে দুর্গাপুর মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরার উপস্থিতিতে এক উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হল। এই বৈঠকে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বর্তমানে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা: নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার, ডেপুটি সুপার সহ সমস্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ওই বেঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে হাসপাতালে রোগীদের উন্নততর ও দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুরের প্রশাসনিক প্রধান ও রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সরব হন বলে জানা গেছে। উভয়েই উপস্থিত নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের রোগীদের সেবায় মনোনিবেশ করতে এবং একই সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও আউটডোরে সঠিক সময়ে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বলেন। হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা পর্যোলোচনা করতে এবার থেকে প্রতি মাসেই রিভিউ কমিটির মিটিং করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।