বর্ধমান-আরামবাগ রাজ্য সড়ক (৭)-র উপর বর্ধমানের সদরঘাটে কৃষক সেতুর পাশেই ২৪৬ কোটি টাকা দিয়ে শিল্প সেতু গড়ে উঠবে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেটে সেই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেটে সে জন্যে ২৪৬ কোটি টাকার বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমানের তেলিপুকুর থেকে বাঁকুড়া মোড় পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা চার লেনের করা হবে। সেই মতো দু’লেনের কৃষক সেতুর পূর্ব দিকে আরও একটি দু’লেনের সেতু গড়া হবে। নতুন সেতুটি সংযোগকারী রাস্তা ধরে ১২০০ মিটার লম্বা হবে। কৃষক সেতুর আগে ইডেন ক্যানেলের পাশে প্রথমে ৮০ মিটার লম্বা দু’লেনের সেতু তৈরি হবে। পরে পুরানো সেতুটি ভেঙে নতুন করে সেতু তৈরির প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সেতু-সহ রাস্তা জুড়ে আলোর ব্যবস্থা থাকবে।

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা হল বর্ধমান-আরামবাগ রাজ্য সড়ক। এই রাস্তা দিয়েই বর্ধমানের সঙ্গে বাঁকুড়া যাওয়ার যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও বর্ধমান শহরের সঙ্গে রায়না, মাধবডিহি, খণ্ডঘোষ ও জামালপুরের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগের মূল মাধ্যম ওই রাস্তা। সদরঘাটে দামোদরের উপর ১৯৭৩ সালে কৃষক সেতুর শিলান্যাস হয়। ১৯৭৮ সালে কৃষক সেতু চালু হয়। পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, ‘যে কোনও সেতুরই পূর্ণ মেয়াদ ধরা হয় ৫০ বছর। সেই হিসেবে কৃষক সেতুর বয়স ৪৫। সে জন্যেই এখন থেকেই ওই সেতুর পাশে নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

বিধায়ক (রায়না) শম্পা ধাড়া বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত আনন্দের খবর। আমাদের এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেটাতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি নিজেও বিধানসভায় এই দাবি করেছি।’ এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন, এই সেতু তৈরি হলে ওই রাস্তায় গতি বাড়বে, যানজটের সমস্যা কমবে। রাস্তার দু’ধারে কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। এলাকার আর্থ-সামাজিক কাঠামোর পরিবর্তন হবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানান, এই সেতু তৈরি হলে বর্ধমান শহরের সাথে সমগ্র দক্ষিণ দামোদর, বাঁকুড়া, আরামবাগের যোগাযোগ আরও মসৃণ হবে। উপকৃত হবেন জেলার বহু মানুষ।


Like Us On Facebook