১০২ বছর বয়সে শনিবার বাড়িতে বসেই পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলেন বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের খুদকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ডাক্তার সত্যনারায়ণ সাঁই। এবার ৮৫ বছরের উর্ধ্বে যাঁদের বয়স তাঁদের বাড়িতে বসেই ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই সুবিধায় এদিন শতায়ু এই ভোটার দিলেন ভোট।
ভোট দিয়ে রীতিমত আপ্লুত সত্যনারায়ণবাবু। ভোট দিলেও এদিন তিনি আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে তার বয়স ১০২ বছর হলেও এখনও পর্যন্ত পেনশন পান নি। বামফ্রন্ট আমল থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেও বহুবার সরকারের কাছে পেনশনের জন্য দারস্থ হয়েছেন সত্যনারায়ণবাবুর পরিবার, এমনই দাবি পরিবারের। স্পীড পোস্টের মাধ্যমে নবান্নেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তথ্য সম্বলিত চিঠি পাঠানো হলেও কোন উত্তর আসেনি বলে দাবি তাঁদের। কর্মজীবনের সময় স্বাস্থ্য বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন সত্যনারায়ণবাবু। তার সময়কালে তাঁরই সহকর্মীরা সকলেই পেনশন পেলেও তিনি আজ ১০২ বছর বয়সে এসেও পেনশন পান না। ১৯৯২ সাল থেকে বহুবার সরকারের কাছে বিষয়টি নিয়ে দরবার করেছেন সত্যনারায়ণবাবুর পরিবার। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন সত্যনারায়ণবাবুর বড় ছেলে অমল কুমার সাঁই।
অন্যদিকে, ১০২ বছর বয়সী ডাক্তার সত্যনারায়ণ সাঁইয়ের ভোটদানের কথা জানতে পেরে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন খণ্ডঘোষ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে ৭০-৮০ বছরের মানুষরা গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন। অনেক আবেদন নিবেদন করার পর আজ নির্বাচন কমিশনের তৎপরতায় বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারছেন বয়স্ক ব্যক্তিরা।