মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্ধমানে সফরের সূচি ঘোষণা হতেই তড়িঘড়ি মিষ্টিহাব নিয়ে শুক্রবার বৈঠক হল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। এদিন মিষ্টিহাবের দ্বিতীয় তলে ১০ টি নতুন দোকান ঘর বিলি করা হল। মিষ্টিহাবের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সেখানে মিষ্টির দোকানের পাশাপাশি রেস্তোঁরা, ফাস্টফুড সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দোকান হবে।

২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে উল্লাস মোড়ের কাছে মিষ্টিহাবের উদ্ধোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আসানসোলে জেলা ভাগের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প চালু করেন। তার আগে ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারিতে বর্ধমানের মাটিতীর্থ কৃষিকথার উৎসব মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মিষ্টিহাব তৈরির কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাত্র মাস তিনেকের মধ্যে তৈরি হয় মিষ্টি হাব। প্রথম পর্যায়ে মোট বরাদ্দ ছিল ২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। মোট ১৫ টি ঘর তৈরি হয় এবভ তা বিলি করা হয় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের। মিষ্টিহাবে দোকান চালু করেও বেশীর ভাগ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দেন। বিক্রি না হওয়ায় লোকসানের বোঝা টানতে পারেন নি তারা।

মিষ্টিহাবে দ্বিতীয় পর্যায়ে মিষ্টির দোকানের পাশাপাশি রেস্তোঁরা-সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দোকান খোলার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। জনপ্রিয়তা বাড়াতে মিষ্টিহাবের পরিকাঠামোগত কিছু সুবিধা চালু করছে প্রশাসন। ক্রেতাদের রিফ্রেশমেন্টের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। কীভাবে মিষ্টিহাবকে আকর্ষণীয় ও বাণিজ্যিকভাবে সফল করা যায় সেই ব্যাপারে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুক্রবার আলোচনা করেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে পরিকল্পনা সফল করার প্রচেষ্টা চলছে।

মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা জানান, মিষ্টি হাবের সামনে পার্কিং-এর সমস্যা রয়েছে। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘পার্কিংয়ের একটা সমস্যা আছে। সেটা দূর করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। এক-দেড় বছরের মধ্য জাতীয় সড়ক ছয় লেনের হবে। সেই সময়ই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সার্ভিস লেন ও এখানে পার্কিং করার বন্দোবস্ত করে দেবে। ফলে পার্কিং নিয়ে সমস্যা মিটে যাবে।’ এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মিষ্টিহাবকে নবরূপে পুরোপুরি চালু করা হবে ইংরেজি নববর্ষে। সবরকম সুবিধা থাকবে এখানে।’