মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ দুষ্কৃতীরা হামলা চালালো গুসকরা পুরসভায়। পুরপতি বুর্ধেন্দু রায়, কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না গোস্বামীকে মারধরের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের চেম্বারে। এই ঘটনায় গোটা গুসকরা জুড়েই তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পুরপতি বুর্ধেন্দু রায় দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুরপতি জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে গুসকরা পুরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ইটাচাঁদা এলাকার বাসিন্দা সেখ মণিরুল ইসলাম তাঁর কাছে একটি কাগজ নিয়ে আসে। বুর্ধেন্দুবাবু জানিয়েছেন, ওই ইটাচাঁদা এলাকায় একটি ইদগাহের জন্য ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এদিন আরও ৫ লক্ষ টাকা দেবার জন্য ওই কাজের ঠিকাদার সেখ মণিরুল ইসলাম তাঁর কাছে আসেন। এরপর তিনি সরাসরি তাঁকে বিল বিভাগের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠিয়ে দেন। যথারীতি এরপর সেখ মণিরুল ইসলাম নিত্যানন্দবাবুর কাছে যান। কিন্তু নিত্যানন্দবাবু তাঁকে নিয়ম মেনে সাপ্লিমেণ্টারি বিল পুরসভায় জমা দেবার কথা বলেন। আর এর কিছুক্ষণ পরই সেখ মণিরুল আরও কিছু লোকজন নিয়ে এসে ব্যাপক হামলা চালায় নিত্যানন্দবাবুর চেম্বারে। চেম্বারের টেবিল চেয়ার সহ বিভিন্ন জিনিষপত্র ভাঙচুর করা হয়। এমনকি নিত্যানন্দবাবুর গলায় থাকা একটি দামী সোনার চেন এবং তাঁর কাছে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। আচমকা এই হামলার পরই পুরসভার কর্মীরা ছুটে আসলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় আউশগ্রাম থানায় পুরপতি সেখ মণিরুল সহ সানোয়ার মল্লিক, শাহনওয়াজ মল্লিক সহ কয়েকজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


Like Us On Facebook