ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে রহস্য মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম অমিত বাগ (২২)। পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির কামারহাটি দুলেপাড়ায় বাড়ি মৃত যুবকের পরিবারের। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙ্গালোর থেকে কামারহাটি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছয় পরিবারের একমাত্র সন্তানের কফিন বন্দি মৃতদেহ। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে যুবকের অপমৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কামারহাটি গ্রামে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবকের বাবা পিন্টু বাগ। মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহের সৎকার করা হবে না বলে জানিয়েছে যুবকের পরিবার। বাড়ি লাগোয়া গ্রামের মাঠে ওই যুবকের কফিনবন্দি মৃতদেহ বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছে পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশিরা।
মৃত যুবকের বাবা পিন্টু বাগ জানিয়েছেন, আমার এক মাত্র সন্তান অমিত গত ৮-৯ মাস আগে ব্যাঙ্গালোরে কাজে যায়। গ্রামের যুবক সেখ মিজান ভাল মাইনের কজের টোপ দিয়ে অমিতকে ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে যায়। সেখানে সে অমিতকে তার আ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ লাগায়। এলাকার অপর আরও দুই যুবক রমেশ মালিক ও রবি মালিককেও কাজে নিয়ে গিয়েছিল মিজান। পারিবারিক দুরাবস্থার কথা ভেবে সেখানে কষ্টের মধ্যে থেকেও অমিত কাজ করছিল। কিছু দিন আগে বাড়িতে ফোন করে অমিত জানিয়েছিল সে পৌষ পার্বণে গ্রামের বাড়িতে ফিরবে।
পিন্টু বাগ জানান, গত সোমবার সকালে মিজান ব্যাঙ্গালোর থেকে আমায় ফোন করে জানায় অমিত অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ফের মিজান ফোন করে জানায় অমিত মারা গেছে। অমিতের অসুস্থতার কারণ কি ছিল সে বিষয়ে মিজান কিছুই জানাতে চায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা নাগাদ ব্যাঙ্গালোরে কাজে যাওয়া অপর দুই যুবক রমেশ ও রবি অমিতের কফিন বন্দি মৃতদেহ নিয়ে কামারহাটি গ্রামের বাড়িতে ফেরে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে রমেশ ও রবিও সঠিক কিছু জানাতে পারেনি। মৃত্যুর কারণ নিয়ে মিজান নানা বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে। পিন্টু বাগ অভিযোগে বলেন, মিজানের কথাবার্তা থেকেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে। অমিতকে খুন করা হয়েছে বলে পিন্টু বাগ দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন মাধবডিহি থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছি অমিতের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে। তদন্তের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তিনি ছেলের মৃতদেহ সৎকার করবেন না।