দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাসীরা অসুবিধা ভোগ করছিলেন। স্থানীয় বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতকে তাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছিলেনও। কিন্তু তাতেও সুরাহা না হওয়ায় শনিবার বর্ধমানের চান্ডুল গ্রামের বাসিন্দারাই এগিয়ে এলেন প্রায় ১ কিমি রাস্তা তৈরি করতে। শনিবার চান্ডুল গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামের শ্মশানে যাবার রাস্তাকে নিজেদের উদ্যোগেই তৈরি করলেন।
গ্রামবাসী তারাপদ মাঝি, ভোদা পড়ুই জানিয়েছেন, গোটা গ্রামে প্রায় ৪০০-রও বেশী পরিবারের বাস। আর গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিমিরও বেশি দূরত্বে রয়েছে তপশীলি জাতিদের জন্য শ্মশানও। কিন্তু এতদিন শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে একমাত্র রাস্তা বলতে ছিল জমির আলপথ। মাঝে মাঝেই সেই আলপথ ধরে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় সমস্যায় পড়তে হত গ্রামবাসীদের। এব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এরপর গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই গ্রামবাসীরা প্রায় ১ কিমির বেশী এই রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমিদানও করেন। আর তারপরেই শনিবার গ্রামবাসীরা নিজেরাই আলপথের রাস্তাকে প্রসারিত করে প্রায় ৮ ফুট চওড়া মাটির রাস্তা তৈরী করলেন।
বর্ধমান ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক জানিয়েছেন, বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের কোটা প্রায় শেষ। তাই অসুবিধা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আগামী আর্থিক বছরেই ওই রাস্তাকে কংক্রিটের রাস্তা করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্ধমান ১নং পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা চান্ডুল গ্রামের বাসিন্দা মিহির দত্ত জানিয়েছেন, যেভাবে গ্রামবাসীরা উন্নয়নের কাজে নিজেরাই এগিয়ে এসেছেন তা অভাবনীয়। বর্ধমান উত্তরের তৃণমুল বিধায়ক নিশীথ মালিক জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের আবেদনে বৈতরণী প্রকল্পে চান্ডুল গ্রামের শ্মশান তৈরি করতে ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিধায়ক তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরা এই কাজে এগিয়ে আসায় নজীর সৃষ্টি হয়েছে।