এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বুদবুদের তিলডাঙ্গা গ্রামে। মৃতার নাম কামরুন্নেসা বেগম ওরফে রাজকুমারী বেগম (২০)। গত চার বছর আগে গলসির পুরষা গ্রামের রাজকুমারীর সাথে বুদবুদের তিলডাঙ্গা গ্রামের সেখ সাহেবের বিয়ে হয়। মেয়ের বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিবাহের সময় নগদ ৬০ হাজার টাকা, ২ ভরি সোনা ও আসবাবপত্র চায় সাহেবের বাড়ির লোকজন। কিন্তু বাকি নগদ পরে দেবো এই শর্তে বিবাহের সময় নগদ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে বিবাহ দেয় কামরুন্নেসার পরিবার।

অভিযোগ, পণের টাকা বিবাহের সময় দিতে না পারায় মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। ধাপে ধাপে তাঁরা দাবি মত বাকি সমস্ত টাকা ও আসবাবপত্র দিয়ে দেয় কামরুন্নেসার পরিবার। বিবাহের ২ বছর পর একটি মেয়ে হয়। গত দুমাস আগে সাহেব গাড়ি কেনার জন্য আবারও টাকা দাবি করে কামরুন্নেসার পরিবারের কাছে। প্রথমে টাকা দিতে না পারায় তার ওপর অত্যাচার শুরু করলে ব্যাঙ্ক থেকে ২০ হাজার টাকা ধার করে বাইক কেনার জন্য টাকা দেয় রাজকুমারীর পরিবার। গত ১ মাস আগে সাহেবের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারে রাজকুমারী। অভিযোগ, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করলে বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। গত বৃহঃস্পতিবারই সেই মাত্রা চরমে উঠে। অভিযোগ, ঘরের মধ্যেই গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজনেররা।আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে গলসি থানার পুরষা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের তরফে বুদবুদ স্বামী সেখ সাহেব সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুদবুদ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক।

Like Us On Facebook