বর্ধমান আদালত চত্বরে আইনজীবীদের পাকাপোক্ত সেরেস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দিল। রাজ্য সরকারের বিচার বিভাগের সচিব জেলা জজকে অবিলম্বে আদালত চত্বরে সমস্ত বেআইনী নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে আইনজীবী মহলে।
বর্ধমান বার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা জানিয়েছেন, বর্ধমান আদালতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসেন। কিন্তু তাদের বসার জন্য এমনকি দাঁড়াবার মত কোন জায়গা নেই। নেই সাধারণ মানুষের জন্য পানীয় জল বা বাথরুমের ব্যবস্থা। বৃষ্টি পড়লেও তাঁদের দাঁড়ানোর মত কোন জায়গাই নেই। একই অবস্থা আইনজীবীদেরও। আদালত চত্বরেই আইনজীবীদের সেরেস্তা রয়েছে দীর্ঘকাল ধরেই। সম্প্রতি বার অ্যাসোসিয়েশন আদালত চত্বরের শিমূলপুকুর পাড়ে আইনজীবীদের সেরেস্তা হিসাবে পাকাঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। যথারীতি কাজও শুরু হয়। এমনকি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ঘর সম্পূর্ণও হয়ে গেছে। কিছু ঘর সমাপ্তির মুখে। এমতবস্থায় এই বেআইনী নির্মাণ বন্ধের জন্য বর্ধমান পুরসভা বার এ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু আইনজীবীরা তাতে কান না দিয়েই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পুরসভা এব্যাপারে জেলা জজ এবং রাজ্য সরকারের বিচার বিভাগের সচিবকেও অভিযোগ জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা জজ কেশাং ডোমা ভুটিয়াকে অবিলম্বে বেআইনী নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ পাঠান সচিব। এব্যাপারে জেলা জজ বার অ্যাসোসিয়েশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ দেন। সদন তা জানিয়েছে্ন, এই নির্দেশ পাবার পরই তাঁরা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা জোনাল জজ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত সমস্ত নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।