ঝাড়গ্রাম জঙ্গলমহল জুওলজিক্যাল পার্ক থেকে বর্ধমানের রমনাবাগান মিনি জু-তে নিয়ে আসা হল দুটি এমু পাখি। বর্ধমানের রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ককে সাজাতেই এদের নিয়ে আসা হল। আপাতত এই এমু পাখি দুটি ভালো আছে এবং তারা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বনকর্মী শ্রী তরুণ ব্যানার্জী।

জানা গেছে, সোমবার এই পাখি দুটিকে রমনাবাগানে আনা হয়। ইতিমধ্যেই কয়েকটি লেঙ্গুর আনা হয়েছে। এমু এবং লেঙ্গুরগুলি নতুন তৈরি এনক্লোজারে রাখা হয়েছে। দর্শক মনোরঞ্জনের জন্য চিড়িয়াখানাকে গত ২ বছর ধরেই ঢেলে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ এলাকার রমনাবাগান মিনি জুকে সকলের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে আনা হচ্ছে আরও কিছু পশু-পাখি। বর্তমানে রমনাবাগানে ভাল্লুক, হরিণ, কুমির ছাড়াও আছে বেশ কিছু পাখি। দর্শকদের মন ভরাতে কর্তৃপক্ষ আরও কিছু পশু-পাখি আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীঘ্রই আসবে লেপার্ড, ভাল্লুক, লেপার্ড ক্যাট, নেকড়ে, শেয়াল, ময়ূর সহ বেশ কিছু জলচর পাখি।

রমনাবাগান সূত্রে জানা গেছে, রমনাবাগান মিনি জুকে দ্রুত দর্শকদের সামনে খুলে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে জোর কদমে। দর্শকদের জন্য জু-এর গেট পার হয়ে প্রথমেই থাকছে দুটি চিতাবাঘ। তারপরে থাকছে দুটি শ্লথ বিয়ার। এরপরে থাকছে প্রায় ৩০টি চিতল হরিণ। শাম্বার হরিণও থাকছে। থাকছে পুকুরে ঘড়িয়াল। দর্শকদের বিশ্রাম নেবার জন্য থাকছে সেন্ট্রাল পার্ক, ফুড কোর্ট, কাফেটেরিয়াও। এখানেই থাকছে বিভিন্ন পশু পাখিদের সম্পর্কে জানার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও। নতুন করে তৈরি করা পাখিদের খাঁচায় থাকছে ময়ূর, এমু, সারসের মত বড় পাখি। থাকছে রেসার্স মাঙ্কি, লেঙ্গুর, বাঁদর, খরগোশ, সজারুও।

Like Us On Facebook