বর্ধমান হাসপাতালের রাধারানী ওয়ার্ডে চিকিৎসা করাতে আসা এক রোগীকে ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোম নিয়ে যাওয়ার পথে এক দালালকে হাতেনাতে ধরল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সেখ নাজির। বাড়ি মাধবডিহি থানার পহলানপুরে। দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগারের চক্র সক্রিয় হাসপাতাল চত্বরে। রুখতে একাধিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। এমনকি বর্ধমান থানাকেও এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্যেও বলা হয়। সেই মোতাবেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে কড়া নজরদারীর ব্যবস্থাও করা হয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে রাধারানী ওয়ার্ডের সামনে থেকে ধরা হয় নাজিরকে। তল্লাশিতে নাজিরের কাছে থেকে বেশ কিছু নার্সিংহোমের ডাক্তারের লিস্ট ও তার নিজস্ব ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেছে। ভিজিটিং কার্ডের অভিনবত্ব দেখে হতবাক পুলিশ কর্মীরাও। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অত্যন্ত কৌশলে রোগী ও তার পরিজনদের সঙ্গে ভাব জমাতো নাজির। তারপরেই শুরু হতো তাদেরকে ভুল বোঝানোর কাজ। সামান্য মাত্র খরচাতেই অত্যাধুনিক চিকিৎসার টোপ দিয়ে রোগীদের নিয়ে যাওয়া হত কোন নার্সিংহোম। এবার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়ে কেটে পড়ত সে। শুধু নাজির নয় পুলিশ তাকে জেরা করে জানতে পেরেছে তার সঙ্গে তার বৌদি আরিফাও একই কাজ করে। জেরায় নাজির সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে। এমনকি বর্ধমানের বিভিন্ন নার্সিংহোমের সঙ্গে তার যোগযোগের কথাও স্বীকার করেছে সে।

এপ্রসঙ্গে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, আমরা একাধিকবার দালালচক্র ও তার ফলে রোগীপক্ষের সর্বশান্ত হওয়ার অভিযোগ পাই। তারপরেই কঠোর হাতে দালাল চক্র রুখতে একাধিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। এখন আর সে ভাবে দালাল চক্র সক্রিয় না থাকলেও আমরা সচেষ্ট। তার ফলও আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। কোনো রোগী যাতে দালালের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত না হন তার জন্য আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি ও ভবিষ্যতেও নেবো।

Like Us On Facebook