২৩ এপ্রিল থেকে পরপর কয়েকটি কালবৈশাখীর ঝড়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিশেষত বোরো ধানের ক্ষতি নিয়ে নড়েচড়ে বসল বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বুধবার বর্ধমান জেলার কৃষি দপ্তরের এডিও, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এব্যাপারে উদ্বেগও প্রকাশ করা হল। সম্প্রতি পরপর পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিশেষত বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত ২৩ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রথম কালবৈশাখীর তাণ্ডব ঘটে। চলতি বোরো মরশুমে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বোরো চাষ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে। যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি বোরো জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৬২৬টি মৌজার কৃষি জমি। যদিও এই ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। এখনও জেলার বহু কৃষিজমি জলে ডুবে রয়েছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন আধিকারিকরা মনে করছেন। বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, বোরো চাষে ক্ষতির পরিমাণ ১ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ক্ষতির বিষয়টি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসায় তিনি তাঁর কৃষি বিষয়ক উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারকে বর্ধমানে পাঠান। প্রদীপবাবুও কৃষির এই ক্ষতির বিষয়টি সরজমিনে খতিয়ে দেখে জানিয়ে যান বেশ কিছু অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরোর পাকা ধানে। ইতিমধ্যে ধান প্রধান এলাকা গলসী ২ ব্লকের চাষীরা তাঁদের এলাকায় এই ক্ষতির জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদনও করেন। বস্তুত, পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে এই ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে কৃষিদপ্তরও নেমে পড়েছে। পাশাপাশি খোদ বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি স্থায়ী সমিতির বৈঠকে একটি কমিটি তৈরী করে সেই কমিটিকেও এলাকাভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Like Us On Facebook