গোটা রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস রীতিমত ভাল ফল করায় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের গুরুদায়িত্ব আরও বাড়ল বলে অভিমত ব্যক্ত করে গেলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া যাবার পথে বর্ধমানের নবাবহাটে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের বাংলোতে সাময়িক বিশ্রাম নিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। পরে নবাবহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান জেলা পরিষদের দ্বিতীয়বারের বিজয়ী প্রার্থী নুরুল হাসানের বিজয় শুভেচ্ছার অনুষ্ঠানে হাজির হন কিছুক্ষণের জন্য। সেখানেই তিনি এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের বিজয়ী সদস্যদের অভিনন্দনের পাশাপাশি তাদের আরও দায়িত্ব-কর্তব্য সচেতন হবার নির্দেশ দেন।

সুব্রতবাবু বলেন, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও যেভাবে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে জয়ী করেছে তাতে কার্যতই তাঁদের (মন্ত্রীদের) দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। কারণ মানুষ এই সরকারের কাছ থেকে অনেক কিছুই প্রত্যাশা করে। যা বাম আমলে করার সাহস পেত না। তিনি জানান, রাস্তাঘাট, পানীয় জল সমস্ত ক্ষেত্রেই গত ৭ বছরে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। তিনি বলেন, মানুষের প্রত্যাশার শেষ নেই। তাই সমস্ত প্রত্যাশা পূরণের জন্য রাজ্য সরকার সর্বদা চেষ্টা করছে। এদিন বিজেপির ভোট বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়ে যান, ভোটের ফলাফলেই তো বিজেপিকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।

অপরদিকে, এদিন বর্ধমান ১নং ব্লকের জেলা পরিষদের প্রার্থী নুরুল হাসান দ্বিতীয়বারের জন্য জয়লাভ করায় তাঁকেও অভিনন্দন জানান সুব্রতবাবু। এদিন নুরুল হাসান তাঁর এলাকায় বেশ কয়েকটি রাস্তা ও পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প করার আবেদন জানান। সুব্রতবাবু লিখিতভাবে পরিকল্পনা দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে সুব্রতবাবু সাংবাদিকদের জানান, গ্রামীন উন্নয়নের প্রভূত কাজ হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাস্তা, পুকুর সংস্কার, ১০০ দিনের কাজ। গোটা রাজ্যের
মধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলা গ্রামীণ উন্নয়নে ভাল কাজ করেছে। তিনি জানান, গোটা জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সমস্ত বোর্ডই তৃণমূল কংগ্রেস দখল করায় পূর্ব বর্ধমানের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। এদিন তিনি জানিয়ে যান, পূর্ব বর্ধমান জেলাকে এব্যাপারে আরও অর্থ দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি।

Like Us On Facebook