রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বর্ধমান শহরে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলে দিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৩ হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী। এদিন বর্ধমান শহরের ১৪নং ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রাসবিহারী হালদারের সমর্থনে প্রচারে আসেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। আনিস খান মৃত্যু রহস্য নিয়ে এদিন তিনি জানিয়ে যান – রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট এই ঘটনার তদন্ত করতে। একইসঙ্গে তিনি সিপিএম নেতাদের উদ্দেশ্যে বলে গেলেন, সব ব্যাপারে সিপিএম যেন তাঁদের ট্যাগ না লাগান। দেবাংশু এদিন বলেন, আনিস খান মৃত্যুর রহস্য জানতে হবে। এটা জানা প্রয়োজন। যদি তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকে তাহলেও তাঁর কঠিন শাস্তি প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিরোধী দলের চক্রান্ত আছে কিনা, কে কে জড়িত এসব তদন্তের আগে বলা উচিত নয়। সিপিএমের উদ্দেশ্যে এদিন দেবাংশু বলেন, সবজায়গায় নিজেদের ট্যাগ লাগিয়ে রাজনীতি করবেন না। এর আগেও ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুতে বামেরা দাবি করেছিল পুলিশের আঘাতে মারা গেছে। পরে তদন্তে জানা যায়, লাইট পোস্টে ধাক্কা লেগে মারা গেছে।
এদিকে, দেবাংশুর পাশাপাশি এদিন ২২নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী নাড়ু ভকতের সমর্থনে রোড শো করেন বীরভূমের সাংসদ অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। অপরদিকে, এদিন বর্ধমানের ৪নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী নুরুল আলম ওরফে সাহেবের সমর্থনে প্রচারে আসেন প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। এদিন সায়নী ঘোষের রোড শোয়ে উপস্থিত ছিলেন কাতারে কাতারে দলীয় সমর্থক। বর্ধমান স্টেশন এলাকা থেকে শুরু হয় তাঁর এই রোড শো।