গোটা রাজ্যের মধ্যে সামগ্রিকভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ফলাফলের বিচারে মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশনের অরিত্র পাল রাজ্যে প্রথম হয়েছে। বর্ধমান শহরের তথাকথিত নামজাদা অনেক স্কুলেরই সেরাদের তালিকায় ঠাঁই না হওয়া সত্ত্বেও বর্ধমান পৌর উচ্চ বিদ্যালয় নিজেদের সাফল্য বজায় রাখল। এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে এই স্কুলের ৩ জন ছাত্র পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং দশম স্থান অধিকার করেছে। বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের এক ছাত্র সপ্তম স্থান অধিকার করেছে।

বর্ধমান পৌর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে স্বস্তিক সরকার। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৮। স্বস্তিক জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তাঁর ইচ্ছা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হওয়া। চলতি সময়ে গোটা বিশ্বজুড়েই মনোরোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। মানুষ নানাভাবে এই রোগের শিকার হয়ে পড়ছেন। তাই এই বিষয়ের উপর গবেষণা করার ইচ্ছার কথা জানায় স্বস্তিক। অবসর সময়ে স্বস্তিক ছবি আঁকতে ভালোবাসে। স্বস্তিকের বাবা সুজিত সরকার গলসিতে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মী। মা বুলা সরকার গৃহবধূ। দিদি পারিজাত সরকার ডব্লুবিসিএসে বসার জন্য পড়াশোনা করছে।

বর্ধমান পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের অপর ছাত্র সৃজন সাহা গোটা রাজ্যের মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৭। সৃজনের বাবা মোহিত সাহা জীবনবীমার একজন কর্মী। মা মেখলা সাহা গৃহবধূ। সৃজন জানিয়েছে, অঙ্ক, পদার্থবিজ্ঞান, ইংরেজি এবং বাংলার জন্য তার গৃহশিক্ষক ছিল। তবে মা তাকে ইতিহাস এবং ভূগোল পড়িয়েছে। বাবা দেখিয়েছে বিজ্ঞানের বিষয়গুলি। সৃজন ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসে। এই স্কুল থেকেই দশম স্থান অধিকার করেছে দেবায়ুধ ঘোষ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। ৫ জন গৃহশিক্ষক ছিল। মা ইতিহাস পড়িয়েছেন। ছবি আঁকতে ভালবাসে দেবায়ুধ। বাবা দীনবন্ধু ঘোষ বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজে ইংরেজির শিক্ষক। তিনি জানিয়েছেন, আরও ভাল ফল আশা করেছিলেন। অন্তত মেধা তালিকায় প্রথম থেকে পঞ্চম স্থানের মধ্যে থাকবে আশা করেছিলাম। মা রুমি ঘোষ গৃহবধূ। তিনি জানিয়েছেন, দেবায়ুধের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া নয়। দেবায়ুধ যা হতে চায় তাতেই তাঁরা সাহায্য করবেন। অপরদিকে, এবছর বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র শৌভিক সরকার ৬৮৬ পেয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। বাবা পান্নালাল সরকার হার্ডওয়্যারের ব্যবসায়ী। মা সুমনা সরকার গৃহবধূ।

Like Us On Facebook