ডাউন কালকা মেলে দিল্লি ও গাজিয়াবাদ থেকে ৩ যুবক বাড়ি ফেরার পথে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে তাদের সর্বস্ব লুঠ করে নিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার সকালে বর্ধমান স্টেশনের জিআরপি তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করল। অসুস্থ তিন যুবকের নাম মোমিন সেখ, অমরেন্দ্র মালিক ও পিণ্টু দাস। এদের মধ্যে মোমিন সেখের বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। তিনি গাজিয়াবাদ ষ্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। তিনি পেশায় একটি মোবাইল টাওয়ার কোম্পানীর কর্মী। অমরেন্দ্র মালিকের বাড়ি বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার মিরেপোতা এবং পিণ্টু দাসের বাড়ি মন্তেশ্বর থানার বাউড়ি গ্রামে। এরা দুজনেই দিল্লি থেকে ট্রেনে চাপেন।

জানা গেছে, মোমিন সেখের বোনের বিয়ে ঠিক হওয়ায় তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে প্রায় ২৫ হাজার টাকাও ছিল বোনের বিয়ের জন্য। তিনজনেই কালকা মেলের এস-৪ কামরায় উঠেছিলেন। অমরেন্দ্র মালিকের কাছে ছিল নগদ ৭ হাজার এবং পিণ্টু দাসের কাছে ছিল নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা। গুরুতর অসুস্থ মোমিন সেখ জানিয়েছেন, গাজিয়াবাদে আরও বেশ কয়েকজন তাঁদের কামড়ায় ওঠে। এরপর তারা তাঁদের সঙ্গে ভাব জমায়। ট্রেন এলাহাবাদ স্টেশন পার হওয়ার পর তাঁদের ঠাণ্ডা পানীয় খাবার দেন। তা খেতে না চাওয়ায় তারা রীতিমত অনুরোধ করতে থাকেন। মোমিন সেখ জানিয়েছেন, ওই ঠাণ্ডা পানীয় তাঁরাও খাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের দেওয়ার সময় অন্য ব্যাগ থেকে তাদের তা দেওয়া হয়। আর সেই ঠাণ্ডা পানীয় খাবার পরই তাঁরা জ্ঞান হারান। সোমবার আসানসোল স্টেশনে আসার পর তাঁদের জ্ঞান ফিরতে শুরু করে। এরপর বর্ধমান জিআরপি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। জ্ঞান ফিরতেই তাঁরা দেখেন তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত জিনিসপত্রই লুঠ করে নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে জিআরপি থানায় তারা লিখিত অভিযোগও দায়ের করছেন বলে জানিয়েছেন।

Like Us On Facebook