একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও এক ছেলের আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার বাঘাসন গ্রামে। কি কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই পরিবারের বড় মেয়েকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মৃতদের নাম সুদেব চন্দ্র দে (৩৯), তাঁর স্ত্রী রেখা দে (২৮), ও তাঁর ছেলে স্নেহাংশু দে (৮)। মঙ্গলবার ভোরে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুদেববাবু রেল পুলিশে চাকরি করতেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক কোন সমস্যার জন্যই সকলে মিলে আত্মঘাতি হয়েছেন। তবে এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ভোরবেলায় সুদেববাবুর মেয়ের চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। সেই সময় গোটা ঘর দাউ দাউ করে জ্বলছিল। তাঁরা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ আসে। ঘরের মধ্যে থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জীবিত একমাত্র মেয়েকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ মৃত ৩ জনের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।