গোটা রাজ্যের মধ্যে প্রথম বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল কর্মশালা। হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, সমস্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু প্রমুখরাও। আর এই কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
এদিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ নবনির্বাচিত সদস্যদের উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়েছেন, কারও দ্বারা পরিচালিত হবেন না। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে নিজে জেনে সমস্ত সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে নিজস্ব চিন্তাভাবনায় কাজ করুন। পঞ্চায়েত প্রধান মানে সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অফিস করা নয়। প্রতিমাসে নিয়ম করে গ্রাম সংসদের সভা গ্রামে বসে করুন। গ্রামের মানুষের কথা শুনে পরিকল্পনা রচনা করে কাজে হাত লাগান। খাতায় কলমে গ্রাম সংসদ হয়েছে বলে দেখাবেন না। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপনবাবু বলেন, তিনি নিজে দেখেছেন একটি পুকুরে সামান্য কিছু পানা পরিষ্কার করতে দুহাত অন্তর লোক লাগানো হয়েছে। তারা পানার গায়ে হাত বোলাচ্ছেন। কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছেনা। ১০০ দিনের কাজ ঠিকভাবে করতে হবে।
এদিন স্বপনবাবু আরও বলেন, মাত্র ৭দিনও হয়নি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। কিন্তু পঞ্চায়েতে বসতে না বসতেই গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বন দফতরকে না জানিয়েই। গাছ লাগানোর থেকে গাছ কাটার প্রতিই আগ্রহ বেশি। তিনি বলেন, যেখানে সরকার গাছ লাগানোর কথা বলছে, সেখানে এই ঘটনা মানা যায় না। তাঁকে এসব সামলাতে হচ্ছে। রীতিমত দুঃখ প্রকাশ করে স্বপনবাবু বলেন, কৃষি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এত প্রকল্প নিয়েছেন। কিন্তু দুঃখ লাগে যখন দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের জন্য এই প্রকল্প নিয়েছেন তাঁরা ট্রাক্টর পাচ্ছেন না, পাচ্ছেন যাঁর আরও তিনটে আছে তিনি। এমনকি বাংলা আবাস যোজনায় যাঁদের প্রকৃত ঘর পাওয়ার কথা তাঁদের বদলে যাঁর তিনতলা বাড়ি তাঁকেই দেওয়া হয়েছে বাংলা আবাস যোজনার ঘর। স্বপনবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিকারের উন্নয়ন চাইছেন আর এসব কি হচ্ছে?