কুলটির সীতারামপুরের গান্ধীনগরে এক বিবাহিত যুবকের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অসন্তোষ ছড়াল এলাকা জুড়ে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় মানুষজন সীতারামপুর স্টেশন রোড ও নিয়ামতপুরে জিটি রোধ অবরোধ করেন এবং নিয়ামতপুর ফাঁড়ি ঘেরাও করেন। স্থানীয় কাউন্সিলর জনগণকে আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, সীতারামপুর গান্ধীনগরের যুবক দীপক দে (২৭) প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক আছে সন্দেহে আত্মহত্যা করেন। দীপকের দুই কন্যা সন্তান আছে। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, দীপকের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুধবার দীপকের স্ত্রী পাড়ার কলে জল আনতে গিয়ে প্রতিবেশী ওই যুবকের সঙ্গে গল্প করার দৃশ্য দেখতে পান দীপকের মা। এরপর দীপকের পরিবারে অশান্তি চরমে ওঠে। দীপক রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। রাগের মাথায় দীপক বাড়ির দোতালায় উঠে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। কিছুক্ষণ পর দীপকের স্ত্রী দোতালায় গিয়ে দীপকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। কুলটি থানার নিয়ামাতপুর ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়৷
দীপকের আত্মহত্যার খবর চাউর হতেই বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সীতারামপুর স্টেশন রোড অবরোধ করেন এবং অভিযুক্ত যুবকের দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। শেষমেশ স্থানীয় কাউন্সিলরের আশ্বাস পেয়ে স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেন। এরপর এদিন দুপুরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে স্থানীয় জনগণ ফের নিয়ামাতপুর ফাঁড়ি ঘেরাও করেন এবং নিয়ামাতপুর জিটিরোড অবরোধ করেন। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দীপকের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক।