বাবা নিখিল পালের স্বপ্ন পূরণ করতে দুর্গাপুর সুরেনচন্দ্র মডার্ন স্কুলের ছাত্রী সঙ্গীতা পাল একজন সুচিকিৎসক হতে চায়। গরীব মানুষের সেবায় উৎসর্গ করতে চায় সঙ্গীতা নিজেকে। মাধ্যমিকে ৬৭৫ পেয়ে দুর্গাপুরের প্রথম স্থানাধিকারি সঙ্গীতা তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষে আজ একধাপ এগিয়ে গেল। সঙ্গীতার বাবা নিখিল পাল দুর্গাপুরের প্রান্তিকা স্টিল মার্কেটে এক ওষুধের দোকানের সামান্য কর্মচারী। মা রুপালি পাল গৃহবধূ। সঙ্গীতা বাবা ও মায়ের সঙ্গে দুর্গাপুর তিলক রোডের এক ভাড়া বাড়িতে থাকে। অস্বচ্ছল পরিবারের এক মাত্র মেয়ে সঙ্গীতার পড়াশোনার উন্নতির জন্য বাবা ও মা দু’জনেই অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। স্বপ্ন মেয়েকে চিকিৎসক হিসাবে দেখা। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে একই ভাবে সঙ্গীতাও অক্লান্ত পরিশ্রম করে জীবনের প্রথম সোপান মাধ্যমিকে ৬৭৫ পেয়ে দুর্গাপুর মহকুমায় প্রথম স্থান দখল করে। একই সঙ্গে দুর্গাপুরের নামও উজ্জ্বল করে সঙ্গীতা।
দুর্গাপুর সুরেনচন্দ্র মডার্ন স্কুলের সম্পাদক সুশান্ত পোদ্দার বর্ধমান ডট কমকে বলেন বরাবরের পড়াশোনায় কৃতি ছাত্রী সঙ্গীতা পাল শুধু আমাদের স্কুলের নয়, ৬৭৫ নম্বর পেয়ে দুর্গাপুরেরও মুখ উজ্জ্বল করল। একই সঙ্গে সুশান্ত বাবু বলেন একশ শতাংশ পাশ করে আমাদের স্কুল রাজ্যে ১৬ নং স্থান দখল করেছ। আজ আমাদের খুবই গর্বের দিন।
জানা গেছে দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী গার্লস হাই স্কুলের স্বস্তিকা মিদ্দা ৬৭৪ পেয়ে মহকুমায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। শনিবার সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিকের ফল জানতে ভিড় করে। শিল্পাঞ্চালের প্রায় সব স্কুলই ভাল ফল করায় শিল্পাঞ্চল জুড়েই খুশীর হাওয়া।