সেলফি তুলতে গিয়ে রেলের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম অতুল কুমার প্রসাদ(১৪)। বিহারের বাসিন্দা হলেও বর্ধমানের রেল অফিসার্স কলোনীতে বাবা-মার সঙ্গে থাকত অতুল। বাবা চন্দ্রপ্রকাশ প্রসাদ রেল দপ্তরের একজন অফিসার। অতুল দিল্লি পাবলিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বর্ধমান ৬নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, বুধবার বিকাল ৫টা নাগাদ অতুল এবং তার এক বন্ধু বর্ধমানের ডিজেল শেডের মালগাড়ি কারশেড এলাকায় যায়। সেখানে তখন দাঁড়িয়েছিল একটি তেল ট্যাঙ্কারবাহী মালগাড়ি। এরপর অতুল তেল ট্যাঙ্কারের উপরে উঠে পড়ে। হাতে মোবাইল নিয়ে ওপরে হাত তুলে ছবি তুলতে গেলেই বিকট আওয়াজ হয়। বিকট আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে সে। এই ঘটনায় আশপাশের লোকজন ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই ঘটনার পরই সঙ্গী অন্য বন্ধুটি ছুটে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। পরে রেললাইনে গিয়ে দেখতে পান ছাত্রটির দগ্ধ দেহ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুটি ছেলেকে তাঁরা রেল লাইনে যেতে দেখেছিলেন। তার মধ্যে একজনকে হাতে মোবাইল নিয়ে তেল ট্যাঙ্কারের ওপরে তাঁরা উঠতেও দেখেন। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেননি এমন কিছু ঘটতে চলেছে। কিন্তু বিকট আওয়াজের পাশাপাশি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেই তাঁরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে রাত্রি প্রায় ১০টা নাগাদ জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত ছাত্রের পরিচয় জানতে পারেন এলাকার বাসিন্দারা।
মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, ওই ছাত্রটি এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। অত্যন্ত ঠাণ্ডা স্বভাবের। কিন্তু কিভাবে সে রেল লাইনে সেলফি তুলতে গেল তা তাঁরাও বুঝতে পারছেন না। এদিকে, এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অন্যদিকে, এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তেল ট্যাঙ্কারে তেল ভর্তি ছিল। ফলে এদিন আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যেতে পারত।