পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে যে ৫ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল পাঠানো হয়েছিল তার সবকটিই নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়ে দিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। সোমবার জেলাশাসক সহ রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনা সন্দেহে ভর্তি থাকা রোগীদের ইতিমধ্যেই শহরের দুই প্রান্তে দুটি বেসরকারি হাসপাতাল যা বর্তমানে করোনা হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং সেখানকার স্যানিটাইজেশনের বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নেন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখনও কোন পজিটিভ কেস মেলেনি। গোটা জেলায় সমস্ত ব্লকে ব্লকেই কোয়রান্টিন সেণ্টার চলছে। জেলায় মোট ৩১টি কোয়রান্টিন সেণ্টার চলছে। এখনও পর্যন্ত জেলা কৃষিভবনে ৪৭ জন পরিযায়ী শ্রমিককে রাখা হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা সংক্রামিত নন। তিনি জানিয়েছেন, যে ৫ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল তাতে তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। নেগেটিভ উত্তর আসায় তাঁরা স্বস্তি পেয়েছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই বাজার, দোকান এলাকায় ভিড় দেখা যাচ্ছে। এজন্য প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতকে মাইকিং করে প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। রেশন দোকানগুলিতে অনেক সময় সমাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে এব্যাপারে সোমবারই খাদ্য দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করার পাশাপাশি খাদ্য দফতরের অফিসারদের জেলার সমস্ত রেশন দোকান পরিদর্শন করার নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। এদিন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও জানিয়েছেন, তাঁরা বারবার সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। কিন্তু কিছু মানুষ এখনও এর গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। মানুষ যদি এই ঘটনায় সচেতন না হয় তাহলে কি আর করার আছে। তবুও তাঁরা চেষ্টা করছেন যাতে এই জেলার একজন মানুষও করোনায় প্রাণ না হারান।