শনিবার ভরদুপুরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ছেলেকে দেখতে এসে ছিনতাইবাজদের খপ্পরে পড়লেন এক ব্যক্তি। যদিও তাঁর চিৎকারে ধরা পড়েছে দুই ছিনতাইবাজ। একজন পালিয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল চত্বরে থাকা পুলিশ ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, এদিন দামোদরের ধারের গৈতানপুর চরমানা এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর মন্ডল তাঁর ছেলেকে দেখতে হাসপাতালের আউটডোরে দোতলায় আসেন। সেখান থেকে লিফটে নীচে নামতেই এক দুষ্কৃতী তাঁর জামার পকেট থেকে টাকা ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। চোর চোর বলে চিৎকার শুনে এক ছিনতাইবাজকে ধরে ফেলেন স্থানীয় মানুষ। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই ছিনতাইবাজকে।
জানা গেছে, ওই ছিনতাইবাজকে ধরার পর আরও একজনকে ধরা হয়। ধৃতদের নাম সফিকুল শেখ এবং শেখ রাজা। দু’জনেরই বাড়ি শহরের কৃষ্ণপুর এলাকায়। এদিন, এক ছিনতাইবাজকে ধরে যখন কার্যত গণধোলাই চলছিল সেই সময় আচমকাই তার হাতে থাকা ব্লেড দিয়ে সে নিজের শরীরেই জায়গায় জায়গায় ক্ষত তৈরি করতে থাকে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে হাসপাতালের ক্যাম্পের পুলিশ। জানা গেছে, এদিন প্রথম একজনকে ধরার পর সাধারণ মানুষের চিৎকার চেঁচামেচির জেরে ধরা পড়ে যায় আরও এক দুষ্কৃতি। যদিও এরই মাঝে আর এক দুষ্কৃতি পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
এদিন শুভঙ্করবাবু জানিয়েছেন, আউটডোরের দোতলায় তাঁর ছেলে ভর্তি আছে। তাকে দেখতেই এদিন তিনি এসেছিলেন। ছেলেকে দেখে লিফটে নীচে নামতেই আচমকা এক যুবক তাঁর জামার পকেটে থাকা পাঁচ হাজার দুশো টাকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তিনি জানিয়েছেন, চোর চোর বলে চিৎকার করতেই ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষ এবং কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা। ধরা পড়ে যায় ওই ছিনতাইবাজ। তিনি জানিয়েছেন, ছিনতাইবাজের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচ হাজার টাকাও। এদিকে দিনের বেলায় খোদ হাসপাতালের ভিতর কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই রোগীর আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল জুড়ে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একইভাবে রোগীর সমস্ত কিছু হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি রাতের বেলায় রোগীর আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকেও তাঁদের কাছে থাকা ব্যাগ, টাকা, গহনা চুরি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর বারবার এই ঘটনার পরই গোটা হাসপাতাল জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে রীতিমত কঠোর করা হয়েছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে এবং বাইরে প্রচুর সংখ্যায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভিও। নজরদারী চলছে সিসিটিভির মাধ্যমেও। স্বাভাবিকভাবেই এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হওয়ার দরুণই এদিন ঘটনার পরই ধরা পড়ে যায় দুষ্কৃতিরা।