স্কুল, কলেজ খোলার দাবিতে খোলা আকাশের নীচে প্রতীকি ক্লাস করে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই। রাজ্য জুড়ে খোলা পানশালা ও শপিংমল, অথচ বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – এই অভিযোগ তুলে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে অভিনব আন্দোলন এসএফআইয়ের। বৃহস্পতিবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে বর্ধমান জেলা জুড়ে এই কর্মসূচি পালন করে এসএফআই।
এদিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটি গেটের সামনে খোলা আকাশের নীচে করা হল প্রতীকি ক্লাস রুম। উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু পড়ুয়া ও শিক্ষক। এদিন এই বিকল্প ক্লাস রুমে রাজবাটির গেটের সামনে ক্লাস নেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান অভয় কুমার মন্ডল। প্রতীকি প্রতিবাদ দেখিয়ে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে লেখা পড়ার ট্রাফিক জ্যাম মানছি না – এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গোটা জেলার বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে খোলা আকাশের নীচে এই বিকল্প ক্লাস রুম অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলা এসএফআইয়ের সম্পাদক অনির্বান রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে যেখানে পানশালা, মদের দোকান, শপিং মল খোলা – সেখানে রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দফতরের ব্যর্থতায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাতে ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্যায় পড়ছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে কোভিড বিধি মেনে। দরকার পড়লে শিফ্টিং ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়েছে। অনির্বাণ জানিয়েছেন, এই দাবিতে আগামী ৩১ জানুয়ারি গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ ও আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে সরকার দুয়ারে শিক্ষা প্রকল্পের নামে শেষ করে দিতে চাইছে রাজ্যের পাবলিক এডুকেশন সিস্টেমকে। প্রাথমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা ভুলে যাচ্ছে অক্ষরজ্ঞান। স্কুল কলেজে বাড়ছে ড্রপ আউট। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের প্রবণতাও বাড়ছে। অন্যদিকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার অনলাইন এডুকেশনের নামে দেশ ও রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রকে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে। তাই তাঁদের দাবি, রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে অবিলম্বে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে।