গত কয়েক মাসে পরপর সাত জন কমবয়সী বাসিন্দার অপমৃত্য। আতঙ্কে গোটা পাড়ার প্রায় ২০০ পরিবার। আতঙ্ক কাটাতে এবার যজ্ঞের শরণাপন্ন হলেন বাসিন্দারা।রীতিমত মোটা অঙ্কের টাকা খরচা করে পুরোহিত দিয়ে হল যজ্ঞ। সারারাতব্যাপী করা হয়েছে হরিনাম সংকীর্তনেরও আয়োজন। আধুনিক সভ্যতার যুগেও বিজ্ঞান নয় আতঙ্কে ঈশ্বরেরই শরণাপন্ন শহর বর্ধমানের মানুষ। ঘটনা বড়নীলপুরের উত্তর পাড়ার। উচ্চশিক্ষিত, চাকুরিজীবি ও ব্যবসায়ীদের বাস এখানে। গত কয়েকমাসে পথ দুর্ঘটনায় ও অসুস্থতায় কম বয়সী সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরোহিতের বিধান মেনে এলাকায় শান্তি ফেরাতে মোটা টাকা চাঁদা তুলে পুজো হোম-যজ্ঞ হল। বিরোধিতা নয়, বরং সাধ্যমত চাঁদা দিয়ে পরোক্ষে এই উদ্যোগকে সমর্থন জুগিয়েছেন পাড়ার সকলেই। যুক্তিবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে এটা কুসংস্কার ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে জানান হয়েছে। যদিও বিষয়টিকে নিছক কুসংস্কার হিসেবে মানতে নারাজ পুজোর উদ্যোক্তারা।