আষাঢ় মাসের তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দুই বর্ধমানের জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ঘোরাফরা করছে ৪০-৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। সকাল ১১টার পর থেকেই রাস্তাঘাটে মানুষের তেমন দেখা মিলছে না। দাবদাহ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না। রাস্তায় বেরিয়ে অতি পরিচিতজনকেও এখন চেনা মুশকিল। গরমের থেকে বাঁচতে সকলেই চোখ-মুখ ঢেকে পথে বেরোচ্ছেন। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও বার বার হচ্ছে লোডশেডিং। সবমিলিয়ে ওষ্ঠাগত মানুষের প্রাণ।
দাবদাহের সাথে সাথে পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় চলছে পানীয় জলের হাহাকার। তীব্র গরমে ৪-৫ কিলোমিটার দূর থেকে সাইকেলে করে পানীয় জল আনতে হচ্ছে মানুষকে। পাশাপাশি শহরের ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রীমের দোকানগুলিতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। ঠান্ডি মেশিন, ফ্রিজ, ফ্যানের মেকানিকদেরও কাজের চাপে নাওয়া খাওয়ার সময় নেই।
আজ, মঙ্গলবার ছিল জামাই ষষ্ঠী। সাংঘাতিক গরমে গলদঘর্ম অবস্থা হল জামাইদের। গরমের হাত থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জামাইরা আগেরদিন সন্ধ্যায় বা এদিন সকাল সকাল শ্বশুর বাড়ি পৌঁছে গেলেন। এদিন বেলা ১০টার পর রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায়।
রেল সূত্রে জানা গেছে, প্রচন্ড গরমে রেল ট্র্যাক ঠিক রাখতে নিয়মিত রেল ট্র্যাকের তাপমাত্রা মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে রাজ্য সরকার স্কুলে ছুটি ঘোষণা করায় দুই বর্ধমানের সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলেও কমবেশি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে ঘনঘন জল পান করতে হবে। ওআরএস বা নুন জল হলে আরও ভাল। তাছাড়া তরমুজ, আম জাতীয় সরস ফল খাওয়া উচিত। তবে রাস্তার কাটা ফল একদমই নয়। মাথায় টুপি, রোদ চশমা পরা অতি জরুরি। পরনে হালকা রঙের পোশাক পরাও জরুরি।