পিতৃহারা অসহায় এক কন্যার ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করল বর্ধমানের সদরঘাট ছট পুজো ওয়েলফেয়ার সমিতির সদস্যরা। দান সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয় নববধূর হাতে। বিয়ে উপলক্ষে পাড়া প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করে প্রায় ২০০জনকে খাওয়ানো হল মাংস, ভাত, মিষ্টি। নিমন্ত্রিতরাও নব দম্পতিকে আশীর্বাদ ও সাধ্যমত উপহার দিয়ে গেলেন।
বর্ধমানের লক্ষীপুরমাঠ এলাকায় মঙ্গলবার এই দুঃস্থ, অসহায় কন্যার বিয়েতে সাহায্য করতে পেরে যারপরনাই খুশি সংস্থার সদস্য থেকে কর্মকর্তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ বছর আগে রানী দাসের বাবা ঝন্টুদাস মারা যান। বর্ধমানেই তিনি রিক্সা চালাতেন। আর্থিক কারণেই অষ্টম শ্রেণির পর আর পড়া হয়নি রানীর।লোকের বাড়িতে কাজ করেই কোনো মতে দুই মেয়ে ও ছেলেকে বড় করে তোলেন রানীর মা বাবলী দাস। নিজের ছোট্ট ঘরেই তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন। বড় মেয়ে রানী বিবাহযোগ্যা হয়ে পড়ায় চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন মা বাবলী দাস। এর মধ্যেই কুড়মুনের সোনা পলাশী গ্রামের বাসিন্দা পেশায় গ্যাস অপারেটার রাজীব মালিকের সঙ্গে বিয়ের দেখাশুনা শুরু হয়। ছেলের বাড়ির সম্মতি পেয়ে কি ভাবে বিয়ের আয়োজন করবেন বুঝতে না পেরে তিনি সদরঘাট ছটপূজা ওয়েলফেয়ার সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরেই পরিবারটির কথা ভেবে এগিয়ে আসেন কমিটির সদস্যরা। এগিয়ে আসেন বেশকিছু স্থানীয় বাসিন্দাও। সোমবার সর্বমঙ্গলা মন্দিরে রীতিমত ধূমধাম করেই বিয়ে হয় রাজীব ও রানীর। বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে রানীর অকপট স্বীকারোক্তি, বাকি জীবনটা সুখে কাটুক এটাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি।