১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ গোটা বাংলার বুকে বর্ধমানের সাঁইবাড়ির পৈশাচিক হত্যালীলার চিহ্ন আজও বর্ধমান শহরের ঢলদিঘীর প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনের দেওয়ালে দেওয়ালে অটুট রয়েছে। মলয় সাঁই, প্রণব সাঁই এবং গৃহশিক্ষক জীতেন রায়ের রক্তের ছিটে সাঁইবাড়ির পলেস্তারা খসে যাওয়া দেওয়ালের মাঝেও বিক্ষিপ্তভাবে আজও রয়েছে। রক্তের দাগ শুকিয়ে গেলেও প্রতিবছরই এই দিনটি আসলেই আজ থেকে ৪৮ বছর আগের সিপিএম হার্মাদদের সেই নারকীয় হত্যালীলার উল্লাসের কথা মনে করে শিউরে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা।
রাজনৈতিক শত্রুতায় কংগ্রেসী মলয় সাঁই, প্রণব সাঁই এবং জীতেন রায়কে খুঁচিয়ে, কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন সিপিএমের নেতাদের বিরুদ্ধে। ১১২ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে ৮৪জনের নামে চার্জসিটও পেশ করেছিল। যাদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বিনয় কোঙার, নিরুপম সেন, অনিল বসু প্রমুখরা। বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর এই মামলাকে খারিজ করে দেওয়া হয়। আর প্রতিবছর এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসও। শনিবার প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনে সাঁইবাড়ি লাগোয়া শহীদ বেদিতে এদিন মাল্যদান করে স্মৃতিচারণা করেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, সাঁইবাড়ির ছোট ছেলে উদয় সাঁই, উদয়বাবুর স্ত্রী বর্ধমান পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার উমা সাঁই সহ জেলা নেতৃত্বরা।
স্বপনবাবু এদিন জানান, ১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ সাঁইবাড়ির এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গোটা বাংলার বুকে নৃশংস্য হত্যালীলা বলে চিহ্নিত হয়ে আছে। অন্যদিকে, এদিন পৃথকভাবে শহীদ বেদিতে মাল্যদান সহ স্মৃতিচারণায় অংশ নেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আভাষ ভট্টাচার্য, কাশীনাথ গাঙ্গুলী প্রমুখরা।