বর্ধমানের রমনাবাগানে জন্ম নিয়েছে একটি ময়ূর। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ময়ূরের বংশ বিস্তারের চেষ্টা চলছিল। কৃত্রিম উপায়ে বংশ বিস্তরের চেষ্টাও বিফল হয়েছিল। এবার প্রাকৃতিক নিয়মে ডিম ফুটে ময়ূরের বাচ্চা হওয়ায় রমনাবাগান কর্তৃপক্ষ খুশি। এই প্রথম রমনাবাগানে ময়ূরের বাচ্চা হওয়ায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও ছানাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে যথেষ্ট সতর্ক।
দর্শক মনোরঞ্জনের জন্য চিড়িয়াখানাকে গত প্রায় আড়াই বছর ধরে ঢেলে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দর্শকদের সামনে এই চিড়িয়াখানাকে খুলে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে জোর কদমে। বিভিন্ন চিড়িয়াখানা থেকে পশু-পাখি এনে সমৃদ্ধ করা হবে রমনাবাগান মিনি জু-কে। এরই মধ্যে ময়ূরের ছানা হওয়ায় খুশি কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই রমনাবাগানে পশুদের জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ পরিবেশ। তৈরি হয়েছে খাঁচাও। খুব শীঘ্রই এখানকার চিড়িয়াখানার আকর্ষণ বাড়াতে নিয়ে আসা হচ্ছে বাঘ, চিতাবাঘ, ভাল্লুক সহ অন্যান্য পশু-পাখি। জানা গেছে, জু-এর গেট পার হয়ে প্রথমেই থাকছে দুটি চিতাবাঘ। তারপরে থাকছে দুটি শ্লথ বিয়ার। এরপরে থাকছে প্রায় ৩০টি চিতল হরিণ। শাম্বার হরিণও থাকছে। থাকছে পুকুরে ঘড়িয়াল। দর্শকদের বিশ্রাম নেবার জন্য থাকছে সেন্ট্রাল পার্ক, ফুড কোর্ট, কাফেটেরিয়াও। এখানেই থাকছে বিভিন্ন পশু পাখিদের সম্পর্কে জানার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও। নতুন করে তৈরি করা পাখিদের খাঁচায় থাকছে ময়ূর, সারসের মত বড় পাখি। থাকছে রেসার্স মাঙ্কি, লেঙ্গুর, বাঁদর, খরগোশ, সজারুও।