হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন মাওবাদী সন্দেহে প্রায় ১০ বছর ধরে সংশোধনাগারে থাকা রাজা সরখেল। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ২০০৯ সালে তাঁকে এবং আরও কয়েকজনকে তৎকালীন সিপিএম সরকার গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। আর ২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আসার পর তাঁদের সাজা হয়। তিনি এদিন জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসানো হয়েছিল।
মুক্তির পর তিনি জানিয়েছেন, এবার তিনি তাঁর সঙ্গীদের মুক্ত করার জন্য সমস্ত গণ সংগঠনের কাছে যাবেন। অন্যায়ভাবে সরকার যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো করতেই হবে তাঁকে। উল্লেখ্য, মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতারের পর সেই কেসে রাজা সরখেলদেরও যুক্ত করা হয়। জঙ্গলমহলের মানুষের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজা সরখেল সহ লালগড় আন্দোলন সংহতি মঞ্চের সদস্যরা। পুলিশের নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁরা। এদিন বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বেড়িয়ে আসার পর রাজা সরখেল জানিয়েছেন, তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হল। কোন কিছুই প্রমাণ করতে পারল না সরকার। আর যে সমস্ত পুলিশ অফিসার লালগড়ের মানুষের ওপর অত্যাচার চালালো তাঁদের তো কোন শাস্তি হল না? এর বিচার চাইবেন তিনি।