১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত নদী থেকে বালি তোলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তা সত্ত্বেও গোটা জেলা জুড়েই চোরাগোপ্তা অবৈধ বালির কারবার চলছেই। সোমবার নবাগত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই হাতেনাতে এই বালির অবৈধ খাদান সহ ওভারলোডিং বালির গাড়ি ধরলেন জেলাশাসক সহ প্রশাসনের এক ডজন আধিকারিক।
জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এদিন সকালে আচমকা অভিযান চালিয়ে ৩০টি বালি ও পাথর বোঝাই ওভারলোডিং গাড়িকে আটকানো হয়েছে। আটক করা হয় ৫টি ট্র্যাক্টরকেও। মোট ৩৫টি গাড়ি থেকে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ২০০টি বৈধ বালিঘাট রয়েছে। তা থেকে চলতি বছরে ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। বছরে ৪০ কোটি টাকা রয়্যালটি বাবদ তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়। বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি রাজস্ব) প্রণব কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, সোমবার সকাল প্রায় ৫টা নাগাদ জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক প্রমুখদের নিয়ে বর্ধমানের সদরঘাটে প্রথম হানা দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে পালসিট এবং চাঁচাই মোড়েও তাঁরা হানা দেন। ৩টি জায়গা থেকে মোট ৩০টি ওভারলোডিং বালি ও পাথর বোঝাই ট্রাক এবং ৫টি ট্র্যাক্টরকে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রণববাবু জানিয়েছেন, এই অভিযান লাগাতার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
