বৃহস্পতিবার বর্ধমানের আমড়া গ্রামে কৃষক সুরক্ষা অভিযানে অংশ নিতে আসেন রাহুল সিনহা। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে একহাত নিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, রাজ্যে ঠিকঠাক সরকার থাকলে উনি গ্রেফতার হতেন। এই ঘটনায় তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মন্ত্রীসভা থেকে বার করে দেওয়া উচিত ছিল। একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর এহেন উক্তির জেরে তাঁকে গ্রেফতার করে জেলা পাঠানো উচিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই যে, বাংলায় কোন ঠিকঠাক সরকার চলছে না, একটা এলোমেলো সরকার চলছে। বৃহস্পতিবার আমড়া গ্রামে জাতীয় সড়কের কাছ থেকে রাহুল সিনহার পদযাত্রা শুরু হয়। গ্রামের ভিতরে এসে কয়েকটি কৃষক পরিবারে যান তিনি। তাঁদের কাছ থেকে একমুঠো চাল এবং আলু গ্রহণ করেন।

এদিন আমড়া গ্রামের বাসিন্দা শিবপ্রসাদ মাজি, শ্যামলী মাঝি, কৃষ্ণা পাকরে, পদ্মা বাগ, শ্যামলী দাস ও প্রিয়াঙ্কা নায়ক প্রমুখরা জানান, রাহুলজি তাঁদের সমস্যা শুনেছেন। কেন্দ্রের কৃষি আইনে চাষিরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন দুপুরে গ্রামেরই পরেশচন্দ্র দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন রাহুল সিনহা সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। কলাপাতায় পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে তাঁদের খেতে দেওয়া হয়। রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, চলতি জানুয়ারি মাসের ৩০ থেকে ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই দু’দিনের মধ্যে একদিন তিনি রাজ্যের যে কোন একটি ব্লকের একজন কৃষকের বাড়িতে যাবেন। একইসঙ্গে সংগৃহীত মুঠিবদ্ধ চালের খিচুরীও তিনি খাবেন সকলের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি নেতারা কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ও কৃষি আইনের ভাল দিক তুলে ধরে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। এই চাল সংগ্রহের কর্মসূচি চলছে। এর মধ্যে দিয়ে গোটা রাজ্যের ৪০ হাজার বুথে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তুলছে বিজেপি। এদিন রাহুল সিনহার সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, জেলা কিষাণ সেলের সভাপতি দেবাশীষ সরকার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরাও।

Like Us On Facebook