বিজেপির ডাকা বন্‌ধে বুধবার সকাল থেকে বিজেপি সমর্থকরা জায়গায় জায়গায় বন্‌ধ করার চেষ্টা করলেও কার্যত গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকল অন্যান্য দিনের মতই। তারই মাঝে জোর করে বাস চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা, রেল লাইন অবরোধ, রাস্তা অবরোধ, বাজার বন্ধ করার চেষ্টা প্রভৃতির দায়ে গোটা জেলায় প্রায় ৪২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এদিন সকালে ভাতাড় বাজারে বর্ধমান-কাটোয়া রোড অবরোধ করার সময় ভাতাড় থানার পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। বর্ধমান শহরের বীরহাটায় জোর করে বাস চলাচল বন্ধ করার চেষ্টার অভিযোগে যুবমোর্চার জেলা সভাপতি শ্যামল রায় সহ আরও একজন বিজেপি নেতাকে পুলিশ লাঠিপেটা করে গ্রেফতার করে। এদিন পালসিটের কাছে ২নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে বিজেপি সমর্থকরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। শক্তিগড় এবং দেবীপুর স্টেশনেও মিনিট খানেকের জন্য রেলপথ অবরোধ করে বিজেপি সমর্থকরা।

এদিন বর্ধমান শহরে দোকান-বাজার খোলা ছিল। বাস চলেছে স্বাভাবিকভাবেই। যদিও যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। যাত্রী না হওয়ায় বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছু বাস ছাড়েনি। স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, এদিন সকাল থেকেই বিজেপির জেলা অফিস ঘেরাও করে রাখে তৃণমূল সমর্থকরা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তৃণমূলের কথায় পুলিশ তাদের কয়েকজন সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, বনধ পুরোপুরি ব্যর্থ। মানুষ অন্যান্যদিনের মতই কাজ করেছে। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এই বন্‌ধকে।





Like Us On Facebook