অবশেষে দীর্ঘ জল্পনা শেষে মঙ্গলবার বর্ধমান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটি ঘোষণা করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। উপস্থিত ছিলেন দুই পর্যবেক্ষক অলোক মাঝি এবং উজ্জ্বল প্রামাণিক সহ জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার। এদিন জেলা যুব কমিটিও ঘোষণা করেন রাসবিহারী হালদার। সামনের বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে জেলা কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে অনেক পুরানো মুখের পাশাপাশি নতুন মুখকেও। তেমনই তালিকায় ঠাঁই পায়নি অনেক তৃণমূল নেতাই। আবার এমন অনেক নেতার নাম জেলা কমিটি থেকে ব্লক কমিটিতে রয়েছে যাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। জেলা কমিটিতে ঠাঁই মেলেনি বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন পুরপতি ডা. স্বরুপ দত্তের। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের এই জেলা কমিটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতাকে। সভাপতি করা হয়েছে স্বপন দেবনাথকে। এছাড়াও রয়েছেন উজ্জ্বল প্রামাণিক, সুভাষ মণ্ডল এবং অলোক মাঝি কো-অর্ডিনেটর হিসাবে। জেলা কমিটিতে ২৭ জনকে ভাইস প্রেসিডেণ্ট করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ২৬ জনকে। সম্পাদক করা হয়েছে ১৬ জনকে। মোট ৭৪ জনের জেলা কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে বেশ কিছু নতুন মুখকেও।

অপরদিকে, এদিন ব্লকের সভাপতি সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে নতুন করে সভাপতি হিসাবে নিয়ে আসা হয়েছে রায়না -১ এ বামদেব মণ্ডলকে। একদা লালদূর্গ রায়নাকে সিপিএমের হাত থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে এই বামদেব মণ্ডল যে ভূমিকা নিয়েছিলেন পরবর্তীকালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তাঁকেই গাঁজা সহ একাধিক মামলায় জেল হয়। অভিমানে বামদেব মণ্ডল কার্যত নীরবে চলে যান। সামনেই বিধানসভা ভোট। আসন্ন নির্বাচনকে রায়নার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামাল দিতে ফের বামদেব মণ্ডলকেই দায়িত্ব দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

অন্যদিকে, বর্ধমান ২নং ব্লকের সভাপতি নিয়ে বিধায়ক নিশীথ মালিকের সঙ্গে শ্যামল দত্তের বিরোধ নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত বর্ধমান ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল দত্তকেই বর্ধমান ২-এর সভাপতি করা হয়েছে। সহ-সভাপতি করা হয়েছে অম্বিকা যশকে। বর্ধমান ১এর সভাপতি হিসাবে কাকলী তা-কেই রাখা হয়েছে। সহ-সভাপতি হিসাবে সঞ্জয় কোনারকে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্ধমান শহরের সভাপতি হিসাবে অরুপ দাসকেই রাখা হয়েছে। জামালপুরে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে শ্রীমন্ত রায়কে। ভাতাড়ের ব্লক সভাপতি করা হয়েছে দেবাশীষ ব্যানার্জ্জীকে। মেমারি ২ এর ব্লক সভাপতি রাখা হয়েছে মহম্মদ ইসমাইলকে। সহ সভাপতি করা হয়েছে অমর সাহাকে। মন্তেশ্বরের সভাপতি করা হয়েছে আজিজুল হককে এবং সহ-সভাপতি করা হয়েছে লালন সেখকে। গলসি ১ এর সভাপতি করা হয়েছে জনার্দন চ্যাটাজ্জীকে এবং গলসি ২ এর সভাপতি করা হয়েছে সুজন মণ্ডলকে সহ সভাপতি করা হয়েছে শৈলেন হালদার (বিল্টু)কে। খণ্ডঘোষে অপার্থিব ইসলামকে সভাপতি করা হয়েছে। রায়না ২এর সভাপতি করা হয়েছে অসীম পালকে এবং সহ সভাপতি করা হয়েছে সৈয়দ কলিমুদ্দিনকে।

Like Us On Facebook