রোগী পরিষেবা নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও নার্সিংহোমের অশুভ আঁতাতে রাশ টানতে সোমবার জেলা প্রশাসন বৈঠক করলেন অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সঙ্গে। দেওয়া হল একগুচ্ছ নির্দেশিকার সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়সীমাও। আগামী ১০ মে-র মধ্যে প্রশাসনের দেওয়া এই নির্দেশিকাকে পালন করার কথাও বলা হয়েছে। সম্প্রতি বীরভূমের মাধ্যমিক ছাত্র অরিজিত দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান জেলায় নার্সিংহোমের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের অশুভ আঁতাতের বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই শুরু হয় ব্যাপক আলোড়ন। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন এই ঘটনার পরই অ্যাম্বুলেন্সের ওপর রাশ টানতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এদিন বৈঠকে অ্যাম্বুলেন্সের মালিকদের ৫ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি অ্যাম্বুলেন্সে দক্ষ চালক ছাড়াও একজন প্রশিক্ষিত সহকারী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি আ্যাম্বুলেন্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা তথা রোগীর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি অ্যাম্বুলেন্সে জিপিএস লাগানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি অ্যাম্বুলেন্সেই বাধ্যতামূলকভাবে রেট চার্ট টাঙাতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সের এই ভাড়া নিয়েই গুচ্ছ অভিযোগ এসেছে প্রশাসনের কাছে। রোগীপক্ষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার মত মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের বিরুদ্ধে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এছাড়াও প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে একটি করে নির্দিষ্ট রেজিষ্টার রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে কোথাকার রোগী কোথায় যাচ্ছেন বা কোথায় এলেন তা নির্দিষ্ট করে লিপিবদ্ধ করা থাকবে।