আসন্ন দুর্গাপুজোয় প্রতিবারের মত এবারেও ইভটিজিং রুখতে মহিলা পুলিশকে সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হবে। একইসঙ্গে পুজোর সময় বেপরোয়া যান নিয়ন্ত্রণে কড়া মনোভাব নেওয়া হয়েছে বলে জানালো জেলা প্রশাসন। সোমবার আসন্ন দুর্গাপুজো সহ পরপর একাধিক পুজো অনুষ্ঠানে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয় সংস্কৃতি লোকমঞ্চে। বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায়, পুরসভার চেয়ারম্যান ডা. স্বরূপ দত্ত সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। হাজির ছিলেন পুজো সংশ্লিষ্ট দমকল, বিদ্যুত সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরাও।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক পুজো উদ্যোক্তা বিশেষত বিভিন্ন ক্লাবের পুজোগুলিকে রাস্তা দখল করে পুজোর মণ্ডপ তৈরি না করার আবেদন করেন। বিশেষত, বর্ধমান শহরের জিটিরোড সহ বেশ কয়েকটি রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এমতবস্থায় রাস্তা দখল করে মণ্ডপ থাকলে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ ব্যাহত হবে। এরই পাশাপাশি জেলাশাসক এদিন পুজোর সময় সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ওপর জোড় দিয়েছেন।
অন্যদিকে, জেলা পুলিশের এক আধিকারিক এদিন জানিয়েছেন, পুজোর আগে প্রতিবারের মত এবারেও মদ, জুয়া নিয়ে গোটা জেলা জুড়েই ব্যাপক হানাদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর সময় যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পুজোর সময় বিকাল ৪টে থেকেই শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, জোর করে চাঁদা আদায়ের কোন অভিযোগ পেলে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত থানাকে।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্ধমান পুরসভার পুরপতি ডা. স্বরপ দত্ত জানিয়েছেন, পুজোর সময় অবিচ্ছন্ন জল সরবরাহ এবং বিদ্যুত পরিষেবা চালু রাখার অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে। এজন্য পুরসভার অফিস পুজোর সময় খোলা রাখা এবং একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।