সরকারি ও বেসরকারি দুরপাল্লার বাসযাত্রীদের জন্য বর্ধমানে তৈরি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বিশেষ ‘হল্ট হাব’। বর্ধমানের পালসিটে ২নং জাতীয় সড়কের ধারে এই হাবের শিলান্যাস করলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। হাজির ছিলেন এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিরণ কুমার গোদালা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, হুগলী জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান সহ হুগলী জেলার বেশ কয়েকজন বিধায়ক।
প্রায় ২ একর জায়গায় প্রথম ধাপে এই অত্যাধুনিক হাব তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে ৮ একর জায়গায় পরিপূর্ণ হাব তৈরির সুযোগও থাকছে। এদিন এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরী জানিয়েছেন, এই হাব তৈরি হচ্ছে পিপিপি মডেলে। এসবিএসটিসির সঙ্গে পার্টনারশিপে রয়েছেন আদিশক্তি হোটেল অ্যান্ড রিসর্ট প্রাইভেট লিমিটেড। মোট প্রায় ৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পে প্রথম ধাপে ৫০টি বাস এখানে থাকতে পারবে। থাকছে যাত্রী ও বাসের কর্মীদের জন্য থাকা, খাওয়া, বিশ্রামের ব্যবস্থা সহ বাস মেরামতির সমস্ত ব্যবস্থাও। থাকছে সর্বক্ষণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকভারি ভ্যানও।
এদিকে, এদিন এই হাবের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনভাবেই এই কাজে যেন বাধা দান না হয়। সেটা দেখার দায়িত্ব সকলের। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তাকে সঠিকভাবে রূপায়ণ করার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা এলাকার জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। কাজেই কেউ এসে এখানে নিজেদের দাদা বলে কাজে যাতে বাধা দান না করেন সে ব্যাপারে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, এই হাব তৈরি হলে বিভিন্ন ভাবে বহু মানুষের রোজগারের দিক খুলে যাবে। এলাকার উন্নয়ন হবে। অর্থনৈতিক পরিকাঠামো বদলে যাবে। অপরদিকে, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপ্তাংশু চৌধুরীও বলেন, কোনভাবেই চুরি তিনি বরদাস্ত করবেন না। এই কাজ করতে গিয়ে কেউ কেউ তৃণমূল বা বিজেপির নেতা বলে সিণ্ডিকেট রাজ চালাতে চাইলে তা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি জানিয়েছেন, এটা বাংলায় নতুন কিছু নয়। কোন রাজনৈতিক দলই চুরি করতে বলে না বা দাদাগিরি করতে বলে না। যাঁরা দলের নাম করে করেন তাঁরা নিজেদের স্বার্থে তা করেন। কিন্তু এই হাব নির্মাণে তা তিনি হতে দেবেন না। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এদিন বলেন, এই হাব তৈরি হলে এলাকার মানুষই কাজের সুযোগ পাবেন। নির্মাতারা অন্য জেলা থেকে লোক নিয়ে এসে কাজ করাবেন না। তাই এলাকার মানুষের সহযোগিতা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৪ মাসের মধ্যেই এই হাব কাজ করতে শুরু করবে। যদিও মনীশ শঙ্কর জানিয়েছেন, এই প্রকল্প পুরোদমে চালু করতে ২-৩ বছর সময় লাগবে।