যুবসমাজকে পথ দেখাতে জাতীয় যুব দিবসে ৮১ বছরের এক বৃদ্ধ মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন। শনিবার বুদবুদের রণডিহা এলাকার রাধামোহনপুরের বাসিন্দা মহাদেব প্রামাণিক নামে এক ৮১ বছরের বৃদ্ধ সহ স্থানীয় যুবক-যুবতীরা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বুদবুদ থানার চাকতেঁতুল যুব অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার শিবিরে অংশ নেন। জানা গেছে, দুর্গাপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অনুভব’ গ্রামে মরণোত্তর দেহদান ও অঙ্গদানের উপর একটি সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। গ্রামের যুবক-যুবতী সহ গ্রামবাসীরা যেখানে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে সরে পড়ে সেখানে গ্রামের মান রাখতে ৮১ বছরের বৃদ্ধ মহাদেব প্রামাণিক মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করে নিজের গ্রামের নাম উজ্জ্বল করে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বলে সুশীল সমাজ মনে করছেন।
কেবলমাত্র রাধামোহনপুর নয় কুসংস্কারের অন্ধকার সরিয়ে ৮১ বছরের বৃদ্ধ মহাদেববাবুর মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারের কথা রণডিহা ছাড়িয়ে গোটা শিল্পাঞ্চলের মানুষকে মরণোত্তর দেহদানে পথ দেখাবে বলে মনে করছেন মানুষজন। মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করে নিজেকে ধন্য মনে করছেন মহাদেববাবু। মহাদেব প্রামাণিক বলেন, ‘মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা ছিল দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু কি ভাবে দেহদানের অঙ্গীকার করা হয় তা জানতাম না। স্বামীজীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গ্রামে এক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অঙ্গদান ও মরণোত্তর দেহদানের সচেতনতা শিবির চলছিল শনিবার। আমি দেহদানের অঙ্গীকার করার পদ্ধতি জেনে নিজেকে এই মহান কাজে উৎসর্গ করি।’ মহাদেববাবু আরও বলেন, ‘প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন। জ্যোতি বসুর দেহদান দেখেছিলাম। তখনই আমি মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নিই।’