প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সিআইডি বর্ধমান থেকে দু’জনকে ধরল। ধৃতদের ব্যবহৃত বিএসএফ বোর্ড লেখা একটি গাড়ি আটক করেছে। ধৃতদের নাম অনিল চৌধুরি ও চন্দন মাহাতো। তাদের কাছ থেকে একাধিক প্রাথমিকের ভুয়ো নিয়োগপত্র পাওয়া গেছে বলে পুলিশের দাবি। অনিল চৌধুরির বাড়ি চন্দননগরে। চন্দন গাড়ির চালক।
জানা গেছে, অনিল রায়নার দুই যুবককে প্রাথমিকের নিয়োগপত্র দেওয়ার বিনিময়ে আট লাখ করে মোট ১৬ লাখ টাকা চায়। ওই দুই চাকরিপ্রার্থী অনিলকে সাত লাখ টাকা দেয়। কিন্তু তারপরেও নিয়োগপত্র না পেয়ে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বাকি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
এরপর চাকরিপ্রার্থীরা বুঝতে পারে তারা প্রতারিত হয়েছে। বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি বাকি টাকা দেওয়ার নামে বুধবার চাকরিপ্রার্থীরা প্রতারকদের বর্ধমানে আসতে বলে। পাশাপাশি পুলিশকেও জানিয়ে রাখা হয়। বাকি টাকার বিনিময়ে প্রতারকরা চাকরিপ্রার্থীদের বর্ধমানের একটি স্কুলের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। ওই স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারে নিয়োগপত্রগুলি জাল। এরপরই বর্ধমান থানার পুলিশ তাদের হাতেনাতে ধরে। বৃহস্পতিবার পুলিশ ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলে। আদালত অনিল চৌধুরির ৭ দিনের পুলিশ হেপাজত ও চন্দনের ৭ দিনের জেল হেপাজত মঞ্জুর করে।