আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি জোড়া কর্মসূচিতে বর্ধমান আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালনায় তাঁর জনসভার দলীয় কর্মসূচির পরই তিনি সরাসরি চলে আসবেন তাঁর স্বপ্নের ‘মাটিতীর্থ কৃষিকথা’ প্রাঙ্গণে। আর অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে মাটি উৎসবের আয়োজন করতে বুধবার মাটি উৎসবের মাঠেই দুপুরের মিঠে রোদ গায়ে মেখে উচ্চস্তরের বৈঠক করলেন রাজ্য ও জেলা স্তরের প্রশাসনিক কর্তারা। এদিন এই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ‌্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার সহ রাজ্য কৃষি দফতরের সেক্রেটারী এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সমস্ত কর্তারা। এছাড়াও হাজির ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাও।

এদিন আশীষবাবু জানিয়েছেন, প্রতিবারের মতই এবারও রাজ্য স্তরের এই মাটি উৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে এই মাটি উৎসব চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই মেলার দিন কমবেশী হতে পারে। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় কালনায় একটি জনসভায় অংশ নেবেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে দুপুর ২টো নাগাদ তিনি মাটি উৎসব প্রাঙ্গণে আসবেন। প্রায় ১ ঘণ্টা তিনি থাকবেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, প্রতিবারের মতই এবারও মাটি উৎসব প্রাঙ্গণে থাকবে সরকারি বিভিন্ন দফতরের স্টল এবং সহায়তা কেন্দ্র। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প এবং চোখের আলো প্রকল্পকে বিশেষভাবে তুলে ধরার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কোভিডজনিত কারণে এবার ব্লক থেকে বিশেষ বিশেষ কৃষকদের নামের তালিকা তৈরি করা না যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী যে কৃষক সম্মান প্রদান করেন তা আকারে ছোট হতে পারে। যদিও শেষ মূহূর্তে এই সমস্ত প্রকল্পের অনেকটাই রদবদল হবার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, যেহেতু হাতে সময় অত্যন্ত কম, তাই দ্রুততার সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণকে তৈরি করার কাজ এদিন থেকেই শুরু করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রথম দফায় মাটি উৎসব প্রাঙ্গণে এই বৈঠকের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন বিকালেই ফের বিডিএ সভাঘরে কিভাবে দ্রুত উৎসব প্রাঙ্গণের কাজ করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৯ ফেব্রুয়ারি এই মাটি উৎসবের উদ্বোধনের দিন জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে মোট প্রায় ১ লক্ষ জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে মাটি উৎসব প্রাঙ্গণ সংশ্লিষ্ট বর্ধমান ১নং ব্লক এবং বর্ধমান ২নং ব্লকের কাছে বিশেষ দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।

Like Us On Facebook