পূর্ব বর্ধমানের রায়ান ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মালির বাগান মাঠপাড়া এলাকায় একটি ইমিটেশনের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানোর ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক দেখা দিল। বেশ কয়েক মাস ধরে ওই কারখানা থেকে বিষাক্ত অ্যাসিড নির্গত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ লাগাতার আপত্তি জানালেও কোনো হেলদোল ছিল না কারখানা কর্তৃপক্ষের। এলাকার মানুষের আপত্তি সত্ত্বেও কারখানা চালিয়ে যাওয়ায় এবং সদর মহকুমা শাসক অবিলম্বে কারখানা বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও কারখানা চালু রাখার ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিল গোটা এলাকায়। এলাকার মানুষজন এদিন দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে ওই ইমিটেশনের কারখানা বন্ধের জন্য ব্যাপক বিক্ষোভও দেখান।
এলাকার বাসিন্দা নজরুল মল্লিক, স্বপন রুইদাস প্রমুখরা অভিযোগ করেছেন, গত প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে মাঠপাড়ায় রেহেনা ইমিটেশন নামে এই সিটি গোল্ড এবং ইমিটেশনের কারখানা চালু হয়েছে। কারখানায় কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত অ্যাসিড। কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ গোটা এলাকায় তীব্র দূষণ ছড়াচ্ছে। কারখানা সংলগ্ন এলাকায় গাছ, ঘাস ক্রমশই অ্যাসিডের তীব্রতায় শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। এমনকি কারখানার বিষাক্ত গ্যাসে এলাকার শিশু, বৃদ্ধরা প্রতিনিয়তই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
যদিও এদিন কারখানার মালিক ওমর আলি সেখ জানান, তাঁর কাছে কারখানা চালু রাখার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সহ আনুষঙ্গিক সমস্ত অনুমতি রয়েছে। যদিও এদিন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র তাঁকে দেখানোর অনুরোধ জানালে তিনি তা সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেখাতে চাননি। ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা জানান, ওই কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ একটি খালে গিয়ে পড়ছে সেখানকার জল খেয়ে একাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। বর্ধমান ১নং পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা বর্ধমান ১নং ব্লকের তৃণমূল সভানেত্রী কাকলী গুপ্ত এদিন জানান, প্রশাসন দূষণ ছড়ানোর জন্য ওই কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এদিন তাঁরা কারখানা মালিককে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।