বর্ধমান শহরের ১৩ নম্বর ওয়র্ডের বড়নীলপুরের বেচারহাট কলোনির বাসিন্দা তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তপ্ত হল বর্ধমান শহর। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় (৫৫)। বুধবার সকালে বর্ধমানের গাঙপুরের কাছে চৈত্রপুরে গাছ থেকে পূর্ণেন্দুবাবুর ঝুলন্ত মৃতদেহ মেলে। এরপরই পূর্ণেন্দুবাবুর মৃত্যুকে নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের দাবি কাটমানি ফেরতের ইস্যুতে তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে আভিযোগ আস্বীকার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণেন্দুবাবু এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলরের ঘনিষ্ট ছিলেন। কয়েকদিন আগে কাটমানি ফেরতের দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে স্থানীয় কিছু মানুষ বিক্ষোভ দেখান। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার কাটমানির টাকা ফেরতের দাবিতে পূর্ণেন্দুবাবুর বাড়ি ঘেরাও করে বিজেপি। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৈরিতে তিনি ত্রিশ হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে তারা। সেই টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় তারা। সেইসময় পূর্নেন্দুবাবু বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে বিক্ষোভকারীরা ঘর থেকে বের করে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। স্বামীকে খুন করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর।
এই ঘটনায় বুধবার তৃণমূল কর্মীরা বর্ধমান থানা ঘেরাও করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পূর্ণেন্দুবাবু দেহের ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে মিছিল করে এসে কার্জন গেটের সামনে দেহ রেখে অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে। এরপর নীলপুর এলাকায় তাঁর দেহ নিয়ে মিছিল করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এর সঙ্গে অমাদের দলের কোন সম্পর্ক নেই। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত সতয় উঠে আসবে।